Main Menu

বিজয়নগরে হামলায় আহত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে অবৈধ মাটির ব্যবসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেলের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় জড়িত ব্যক্তিদের কেউই এখনো গ্রেপ্তার হননি, বরং হামলাকারীরা আহত ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। ঘটনার ১০ দিন পর গতকাল সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (বিজয়নগর) মামলাটি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাইনুদ্দিনের ওপর হামলার মামলায় ৯ নম্বর আসামি হলেন বাবুল মিয়া। বিজয়নগর থানায় মামলাটি করার পর বাবুলসহ আটজন আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। হামলা মামলার আসামি বাবুল মিয়া গতকাল আদালতে সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে দলবল নিয়ে হামলা ও হুমকি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। বাবুল মিয়ার করা অভিযোগটি আমলে নিয়ে চিকিৎসা সনদ (মেডিকেল সার্টিফিকেট) সংগ্রহ করে আগামী ২ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ নিয়েছেন আদালত।

বাবুল মিয়ার করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ এপ্রিল রাতে সাংবাদিক মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় ওই সাংবাদিক দলবল নিয়ে বাবুল মিয়ার ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাইয়ুম মিয়ার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করেন। এতে মাইনুদ্দিনের ওপর হামলার আসামি কাইয়ুমসহ কয়েকজনকে আহত করেন।

এদিকে ঘটনার ১০ দিন পার হলেও কোনো আসামি ধরা না পড়ায় এবং আসামিরা উল্টো মামলা করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেল। তিনিসহ পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। মাইনুদ্দিন বলেন, ‘পাল্টা মামলায় আমার মামলার একজন সাক্ষীকেও আসামি করা হয়েছে। মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দেওয়া হয়েছে।’

মাইনুদ্দিন জানান, থানা থেকে একটু দূরে উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিবের পদ থেকে বহিষ্কৃত নেতা মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কাইয়ুম মিয়াসহ ৩০ থেকে ৪০ জন হামলা চালান। আবদুল কাইয়ুমসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা উপজেলার সর্বত্র মাটি কাটার মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তাঁরা ক্ষিপ্ত ছিলেন।

হামলার শিকার হওয়ার পরদিন রাতে মাইনুদ্দিন বাদী হয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা, যুবদলের বহিষ্কৃত নেতাসহ ১৩ জনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় মামলা করেন। এই মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।সূত্র: প্রথম আলো



« (পূর্বের সংবাদ)



Shares