কব্জি হারানো ছেলে ও নাতির উপর হামলাকারীদের বিচারের দাবি শতবর্ষী মায়ের



মো:জিয়াদুল হক বাবু : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজনগরে রেললাইন সংলগ্ন পুকুর দখলের বিরোধের জেরে গত রবিবার দুপুরে অর্তকিত মামলায় মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক ইদ্রিস হাসান (৬০) হাতের কব্জি কর্তন করে বিচ্ছিন্ন করে এবং তার ভাই ও ছেলে মারাত্মক জখমী হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার দাবি করে এক সংবাদ সম্মেলনে করে আহত ইদ্রিস হাসানের পরিবার।
সোমবার দুপুর ২ টায় উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে তাদের নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন করেন আহত ইদ্রিস হাসানের শতবর্ষী মা রহিমা খাতুন। এসময় তিনি কান্নায় জড়িত স্বরে ছেলে ও নাতির উপর সন্ত্রাসী হামলার ন্যায় বিচারের প্রার্থনা করেন।
সংবাদ সম্মলনে আহত এর পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঈদ্রিস হাসানের ছোট ভাই কবীর হোসেন। তিনি বলেন, গত রবিবার দুপুরে আমাদের পূর্ববর্তী ওয়ারিশগণের দখলমূলে আমরা পুকুরের মালিকানা স্বত্ববান হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগদখলকার আছি। বরাবরের মতো আমার বড়ভাই ইদ্রিস হাসান ও তার ছেলে মেহেদী হাসান পুকুরে মাছের খাদ্য দিতে গেলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ইছাম উদ্দিন ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় ইছাম উদ্দিনের ছেলে আতিকুল ইসলামের হাতে থাকা চায়না কুড়ালের কোপে ঈদ্রিস হাসানের হাতের কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় হামলাকারীদের হাত থেকে ফেরাতে গেলে মেহেদী হাসান ও হুমায়ুন কবীর নামে দুইজনও গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠান। অবস্থা অবনতি হলে ইদ্রিস হাসানকে ঢাকা পঙ্গু হাসপালে পাঠানো হয়।
এদিকে প্রতিপক্ষের লোকজন এঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন আহত ইদ্রিস হাসানের পরিবার। গুরুতর আহত ইদ্রিস হাসানের মা রহিমা খাতুন বলেন, তারা সন্ত্রাসী কায়দায় আমার ছেলে ও নাতিরে কুপিয়ে মেরেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দেখে যেতে চাই। দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
এ ঘটনায় আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন আহত ইদ্রিস হাসানের ভাই আব্দুল কুদ্দুছ। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম আজাদ, আবুল হোসেন, ছিদ্দিকুর রহমান, আব্দুল আজিজ, মনির হোসেন, আবু হানিফ প্রমুখ।
এ বিষয়ে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি এস এম শফিকুল ইসলাম জানান, এঘটনার একটি অভিযোগ পেয়েছি। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।