নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন : আশুগঞ্জ নৌবন্দরে আটকা ৩০০ জাহাজ
নৌপথে ডাকাতি, চাদাঁবাজি বন্ধ ও নৌযান শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ আর্ন্তজাতিক নৌবন্দর।
ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে আজ রোববার সকালে কার্গো জাহাজ থেকে ভারতীয় চাল খালাস বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। এতে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে ত্রিপুরায় চাল পরিবহনও বন্ধ হয়ে গেছে।
শনিবার দুপুর ১২টার পর নৌবন্দর থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো নৌযান। আশুগঞ্জ থেকে ৬টি নৌরুটে পণ্য পরিবহনও বন্ধ রয়েছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আটকা পড়া জাহাজের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। এসব আটকে পড়া কার্গো জাহাজ গুলোতে সার, রড, সিমেন্ট,পাথর,খাদ্যপণ্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় মালামাল রয়েছে। বন্ধ রয়েছে আশুগঞ্জ-ঢাকা,আশুগঞ্জ-সুনামগঞ্জ ও আশুগঞ্জ-নেত্রকোনাসহ ৬টি নৌরুটে পণ্য পরিবহন।
বিকল্প পথে পণ্য পরিবহন করতে গিয়ে লোকসানের মুখে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া বন্দরের নৌযানগুলো থেকে মালামাল উঠানামাও বন্ধ করে দিয়েছে নৌযান শ্রমিকরা।
এদিকে ধর্মঘটে বেকার হয়ে পড়ছেন নৌবন্দরে প্রতিদিন কর্মরত সহশ্রাধিক শ্রমিক।
পরিবহন ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠান গালফ ওরিয়েন্ট সিওয়েজ এর লজিস্টিক ম্যানেজার নুরুজ্জামান জানান, ত্রিপুরায় চাল পাঠানো প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। রোববার প্রায় ২৫টি ট্রাকে ৫০০ টন চাল পাঠানো কথা ছিল কিন্ত ধর্মঘটের কারণে তা পাঠানো সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, শনিবার ভোররাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতির লুব্ধা বয়ার কাছে নোঙর থাকা অবস্থায় কর্ণফুলী-৫ জাহাজে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে ৩ শ্রমিক নিহত ও সাতজন আহত হন। এ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বানে দেশের সব নৌবন্দর ও নৌপথে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।