Main Menu

প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনার ২ বছর পরেও,আশুগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মিত হয়নি

+100%-

শামীম-উন-বাছির : প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনার ২ বছর পরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নির্মিত হয়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন উপজেলার প্রায় ২ লাখ মানুষ। সামান্য অসুখ-বিসুখেই তাদেরকে চলে যেতে হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল নতুবা কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা আশুগঞ্জের বিভিন্ন প্রাইভেট কিনিকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যে আশুগঞ্জ একটি গুরুত্বপূর্ন উপজেলা। এখানে রয়েছে আশুগঞ্জ সার কারখানা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, খাদ্য শস্য সাইলো, আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর, পদ্মা অয়েল কোম্পানীর ডিপো ও প্রাকৃতিক গ্যাস শৌধনাগার স্টেশন। গত ১৫ বছর আগে আশুগঞ্জকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। তবে গত বছরের অক্টোবর থেকে উপজেলা পরিষদ ভবনের নিচতলায় বহিঃ বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়। জরুরী বিভাগ না থাকায়  ও সরকারি ছুটির দিনে বর্হিবিভাগে ডাক্তার না থাকায়  চিকিৎসা কার্যক্রমও বন্ধ থাকে।
উপজেলার চর-চারতলা গ্রামের মামুন, মোশারফ, আড়াইসিধা গ্রামের রুমান, মুন্নী এবং যাত্রাপুর গ্রামের বিলকিছ, অজুফা ও কাদের বলেন, আশুগঞ্জ বাংলাদেশের একটি অন্যতম স্থান হিসাবে পরিচিত হলেও আমাদেরকে এখনো স্বাস্থ্যসেবার জন্য যেতে হয় জেলা সদরে বা ভৈরবে। এর চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে?
এলাকাবাসী জানান, ২০০৯ সালের শেষের দিকে উপজেলার আলমনগরে উপজেলা পরিষদ ভবনের পাশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মানের জন্য ৫ একর জমিও অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু নানা কারনে এখনো অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। এদিকে ২০১০ সালের মে মাসে আশুগঞ্জে একটি রেন্টাল পাওয়ার প্লাট উদ্বোধনকালে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আশুগঞ্জে  ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মানের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির প্রায় দুই বছর পার হলেও এখনও বাস্তবায়ন হয়নি পূর্ণাঙ্গ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
উপজেলার লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোর্শেদ মাস্টার বলেন, ১৯৯৭ সালে সদর উপজেলার আশুগঞ্জ সদর, চর-চারতলা, আড়াইসিধা, তালশহর, শরীফপুর, লালপুর ও সরাইল উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন নিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা গঠিত হয়। কিন্তু উপজেলা গঠনের পর বছর পরেও আশুগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মিত হয়নি। তিনি বলেন, ২০১০ সালের মে মাসে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আশুগঞ্জে একটি রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে আশুগঞ্জে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধান মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি অবিলম্বে আশুগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মানের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বহিঃবিভাগ  শুক্রবার ও সরকারি ছুটি বাদে সকাল ৯টা থেকে প্রতিদিন বেলা আড়াইটা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে ইনডোর ও জরুরী বিভাগ না থাকায় এলাকার লোকজন স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মানের টেন্ডারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ডিও লেটার দিয়েছেন। তবে কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে তা নিশ্চিত কবে বলা যাচ্ছেনা।  
এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, আশুগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মানের বিষয়টি আমি বেশ কয়েকবার সংসদে উত্থাপন করেছি। আশা করছি শ্রীঘ্র্রই টেন্ডার হবে।






Shares