Main Menu

আশুগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ॥

+100%-

নিজস্ব প্রতিনিধি॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর এস কে দাস চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ডে নির্ধারিত ফি থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিবাবকরা। তারা অভিযোগ করেন, শিক্ষা বোর্ড নির্ধারন করেছেন মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার বিভাগে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৪৮০ টাকা ও বিজ্ঞাণ বিভাগের জন্য ১৫৮০ টাকা আদায় করবে। কিন্তু বিদ্যালয় কতৃপর্ক্ষ তা না করে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪৩০০ থেকে ৪৪০০ টাকা আদায় করছে। এতে করে অনেক গরীব ও অসহায় শিক্ষার্থী অতিরিক্ত ফি না দিতে চাইলে পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেয়ার হুমকি দেন কতৃপর্ক্ষ। এর ফলে বাধ্য হয়ে তাদের নির্ধারিত টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের অভিবাবক ও স্থানীয় চেয়ারম্যান বিদ্যালয় কতৃপর্ক্ষকে ফি কমিয়ে নেয়া অনুরোধ করলেও তারা তা মানছে না। প্রতিকার না পেয়ে শিক্ষার্থীদের অভিবাবকরা উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছে।

চলতি ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিতত্ব এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেন ৩২৯জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাশ করেন ২০৭জন শিক্ষার্থী। উর্ত্তীণ হওয়া শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য জোড়পূর্বক ৪৩০০ টাকা থেকে ৪৪০০ টাকা ফি নির্ধারন করে এবং আদায় করতে থাকে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত টাকা নিলেও বিদ্যালয় কতৃপর্ক্ষ তাদের টাকার রশিদ দিচ্ছে না। তবে বিদ্যালয় কতৃপর্ক্ষ অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে জানান, তারা বেকয়া বেতন ও শিক্ষার্থীদের কোচিং এর জন্য বোর্ডের নিধারিত টাকার চেয়ে বেশি নিচ্ছেন। কিন্তু বোর্ড থেকে কোচিং ক্লাসের জন্য অতিরিক্ত টাকা না দিতে নিতিমালা জারি করেছেন। আর এ আদেশ বিদ্যালয় কতৃপর্ক্ষ মানছেন না।
বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী জুনিয়া আক্তার ও জাহিদুল ইসলামে পিতা কবির হোসেন বলেন, বিদ্যালয় কতৃপর্ক্ষ বোর্ডে নির্ধারিত ১৬শ টাকা থাকলেও তারা আমার কাছ থেকে ৪৪০০শ টাকা আদায় করেছে। প্রথমে আমি না দিতে চাইলেও তারা তাকে পরীক্ষায় অংশ দিতে দিবেন না জানালে আমি অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য হয়। এ ছাড়া আমার ছেলে এক বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেবেন তার কাছ থেকেও ২২০০ টাকা আদায় করেছে।
আরেক পরীক্ষার্থী আখি বেগমের মাতা স্থানীয় ইউপি সদস্য হনুফা বেগম অভিযোগ করে বিদ্যালয় থেকে নির্ধারিত অতিরিক্ত টাকা আমি না দিতে রাজি হওয়ায় আমাকে বিদ্যালয় থেকে দুঃব্যবহার করে বিদ্যালয় থেকে তারিয়ে দেন।
লালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের জানান, পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যালয় কতৃপর্ক্ষ অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে বিষয়টি কয়েকদিন যাবত আমার কাছে অভিযোগ করে আসছিল পরীক্ষার্থীরা। শনিবার আমি নিজে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে বোর্ডে নির্ধারিত ফি নিতে অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি ৪৪০০ টাকার কম নিতে রাজি হননি। পরে আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা বেগম জানান, আমরা বোর্ডের নির্দেশন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায় করছি। তবে কোচিং ক্লাস ও বকেয়া বেতনের জন্য অতিরিক্ত ফি গুলো নেয়া হচ্ছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আমিরুল কায়ছার জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি। পরীক্ষাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নিয়ে থাকলে বিদ্যালয় কতৃপর্ক্ষ সেই টাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে ফিরিয়ে দিতে হবে। এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।






Shares