আশুগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ




আশুগঞ্জ উপজেলার বিএনপির নেতাসফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাবেক চেয়ারম্যানের ইজারা পাওয়া রেলওয়ে জায়গা জোরপূর্বক দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীর স্ত্রী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত বিএনপির নেতা সফিকুল ইসলাম ওরফে ছোট আবু উপজেলার চরচারতলা গ্রামের বাসিন্দা এবং উপজেলা আশুগঞ্জ বন্দর বিএনপির সহ-সভাপতি।
আশুগঞ্জ উপজেলার পুরোনো রেলস্টেশনের খাদ্যগুদামের পাশের রেলওয়ের পুকুর এবং ওই পুকুরের পাড় বানিজ্যিক ইজারা পেয়েছেন উপজেলার সােনারামপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. সালাহ উদ্দিন। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত আশুগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ইজারা পাওয়া বিষয় দখলে বিষয়টি নিয়ে গত রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং গতকাল সোমবার কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মনোয়ারার স্বামী সালাহ উদ্দিন বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কার্যালয় ঢাকা থেকে উপজেলার সোনারামপুর মৌজার ৫/১ বিএস খতিয়ানের ৮৮ (অং) বিএস দাগের পুকুর পাড়ের পূর্ব-উত্তর দিকের ২০ ফুট প্রস্থ ও ৯০০ ফুট দৈর্ঘ্যের মোট ১ হাজার ৮০০বর্গফুট জায়গা বাণিজ্যিকভাবে ইজারা পান। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার চর চারতলার মাে. মজনু মােল্লা এবং তার ভাতিজা আশুগঞ্জ বন্দর বিএনপির নেতা সফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ব্যক্তি সালাহ উদ্দিনের ইজারা পাওয়া ভূমির দক্ষিণ সীমানার দিকে দুটি ঘর নির্মাণ করে প্রায় ৩০ ফুট জায়গা জোরপূর্বক দখল করেন। তিনি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও আশুগঞ্জ থানার পুলিশকে সরজমিনে পরিদর্শন করে ইজারার জায়গা থেকে অবৈধভাবে নির্মাণ করা দুটি ঘর উচ্ছেদের অনুরোধ জানান।
মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, সফিকুলরা আরাে ২০ ফুট জায়গা রাতের আঁধারে দখলে নেওয়ার পায়তারা করতেছে। ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগীয় ঢাকা ভু-সম্পত্তি কার্যালয় থেকে প্রতিনিধি দল আশুগঞ্জ সদর সদর ভূমি কার্যালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সরজমিনে পরিদর্শন শেষে নকশা মোতাবেক সীমানা নির্ধারণ করেন। তারপরও মজনু মােল্লা ও তার ভাতিজা সফিকুল আমার ইজারার সীমানায় স্থাপনা নির্মাণ করে। সফিকুল একাধিক মামলার আসামি ও অনেক খারাপ প্রকৃতির লোক।
সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, খাদ্যগুদাম এলাকার রাস্তার পশ্চিম দিকে রেলওয়ের পুকুর। পুকুরের পূর্ব-উত্তর দিকে সালাহ উদ্দিনের ইজারার জায়গার দক্ষিণদিকে ঘর নির্মাণ করেছেন সফিকুল।
মজনু মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, আমি কারো জায়গা দখল করিনি। পুকুরের দক্ষিণদিকে জায়গা আমি ইজারা পেয়েছি। ১৯৯৪ সাল থেকে এই জায়গার ইজারা আমার নামে আছে। বিদ্যুতের খুঁটি পর্যন্ত আমার ইজারাপ্রাপ্ত জায়গা।
বিএনপির নেতা সফিকুল ইসলাম বলেন বলেন, ঘর নির্মাণের জায়গাটি চাচা মজনু মোল্লার নামে ইজারা নেয়া। তিনি ইজারার টাকা পরিশোধ করেছেন। অভিযোগ সত্য না। তিনি এই জায়গা ইজারা পেয়েছেন বলেও দাবি করেন। মজনু মোল্লা জানিয়েছেন আপনার ঘর নির্মাণ করা জায়গা ওনার ইজারার নয় প্রসঙ্গে তিনি তেমন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আলম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে উচ্ছেদের এখতিয়ার আমাদের নেই, প্রশাসনের রয়েছে। (ওসির সাথে কথা বলার অনুরোধ রইল যেন সফিকুল সেখানে বেড়া না দিতে পারে)
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদ ছড়া বলেন, আমি প্রশিক্ষণে আছি। অভিযোগ হাতে এসে পৌঁছায়নি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। (অনুরোধ থাকলো ইউএনও সাথে কথা বলার জন্য। সবাই ফোন করলে ইউএনও চাপ অনুভব করবেন,।)































