উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিয়াকত আলীর হুশিয়ারী
১৬ ডিসেম্ভরের পর নাসিরনগরে কোন ভেজাল পণ্য বিক্রি হবেনা।
এম.ডি.মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর হতেঃ আগামী ১৬ ডিসেম্ভরের পর নাসিরনগরে কোন ভেজাল পণ্য বিক্রি হবেনা। নাসিরনগরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বিষয়ক সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে হুশীয়ারী দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিয়াকত আলী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ভোক্তা অধিকার আইন সংরক্ষণ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার উপজেলা অফির্সাস ক্লাবে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ি ও সামাজিক উদ্যোক্তারা অংশ নেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লীয়াকত আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা লতিফ পান্না, কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আনিসুজ্জামান ও ব্যবসায়ী রতন বণিক। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেসমিন আরা,খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ কামাল উদ্দিন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আজিজুল হক,মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার রহিমা খাতুন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাশেম, প্রেসক্লাব সহ সভাপতি মোঃ আক্তার হোসেন ভূইয়া।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিয়াকত আলী বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা গ্রাম পর্যায়ের তিন রাস্তার মোড়ের সাধারণ দোকানীদের টার্গেট করে। যে পণ্যের মান খুবই খারাপ সে পণ্য তারা অল্প মূল্যে বিক্রি করে । আর দোকানীরা অধিক মুনাফার আশায় শিশুদের কাছে বিক্রি করছে এসব ভেজাল পণ্য। গ্রাম পর্যায়ের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা উভয়েই অসচেতন তাই তাদের সহজেই ব্লেকমেইল করতে পারে। যে পণ্যের দাম যত কম সে পণ্যে লাভ তথ বেশি। এই লাভের আমায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দেশের মারাত্বক ক্ষতি করছে। তিনি সকল ব্যবসায়ীদের সর্তক করে বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্ভরের পরে নাসিরনগরের প্রত্যেকটি বাজারে সপ্তাহে একদিন করে মোবাইল কোর্ট করব। আপনাদের আমি সাবধান করে দিলাম। এবং আপনাদের মাধম্যে সকল অবৈধ ভেজাল ব্যবসায়ীদের বলতে চাই, এখনও সময় আছে ভেজাল মুক্ত পণ্য বিক্রি করোন। ১৬ তারিখের পরে আমি নাসিরনগর যতদিন আছি তথদিন কোন না কোন বাজারে ভেজাল মুক্ত পণ্য বিক্রির জন্য অভিযান পরিচালনা করব।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা লতিফ পান্না বলেন, ভোক্তা অধিকার আইনটি বাস্তবায়ন আমাদের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ন। বাংলাদেশের মানুষ সহজ-সরল। আমরা চাই সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে। আমরা এখন যে খাবার খাই সব কিছুতেই ভেজাল। আমাদের শরীরে মারাত্মক রোগ হওয়ার একমাত্র কারণ হল খাদ্যে ভেজাল। তাই আমাদের সকলের সচেতন হতে হবে। তিনি ব্যবসায়দের কাছে অনুরোধ করে বলেন, আপনারা আমাদের ভাই। আপনারা খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি করবেন না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আনিছুজ্জামান বলেন, ২০০৯ সালে ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষনের জন্য একটি আইন হয়েছে।ভোক্তাদের অধিকার বলতে যে সমস্ত পণ্য গ্রহণ করি বা বিক্রি করি সেটা কতটুকু সঠিক আছে । সেটা সঠিক হতে পারে মাপে, সঠিক হতে পারে সেটা ভেজাল কিনা,সেটা নকল কিনা,এটা স্বাস্থ্যে জন্য ক্ষতিকর কিনা। এ সমস্ত অধিকার আমাদের জানতে হবে।আমরা লক্ষ করছি সকল ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেশি লাভ করার একটা প্রবনতা কাজ করে। আর তখনই সে পণ্যে ভেজাল দেয়া বা নকল করার একটা ইচ্ছা কাজ করে।তিনি আরও বলেন, মাছে,কলাতে,শিশুদের বিভিন্ন প্রকার খাবারে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ ক্যামিকেল ব্যভহার হচ্ছে। কাচা কলাটিকে রাসায়নিক ব্যবহার করে সবুজ করে বাজারে বিক্রি করছে এক ধরনের ব্যবসায়ী। এটা স্বাস্থ্যের জন্য বিশাল ঝুঁিক।