নাসিরনগরের ১২৯ টি পূজা মন্ডপে আনসার নিয়োগে টি,আই-র বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
মোঃ আব্দুল হান্নান:- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে আনসার নিয়োগে উপজেলা আনসার ভিডিপির টি আই মোঃ ওমর আলীর বিরুদ্ধে লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্য ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে মোঃ ওমর আলী ১১ই আগষ্ট ২০১৩ইং তারিখে নাসিরনগর আনসার ভিডিপি অফিসে টি আই হিসেবে যোগদান করেন। ১০ অক্টোবর শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে আনসার নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া যায়। নূর পুর গ্রামের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আনসার মোঃ মাঞ্জু মিয়া, মোঃ নূরুল হক, মোঃ শুক্কুর আলী, মোঃ আব্দুল হাসিম, মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ ধন মিয়া নাসিরনগর সদরের গুলবাহার বেগম, লুবনা বেগম ও লুৎফা বেগম অভিযোগ করে এ প্রতিনিধিকে জানান। উক্ত টি আই আনসার নেতা মোঃ ফুল মিয়া, আসকর আলী, জাহানারার মত বেশ কিছু দালাল সৃষ্টি করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। জানা গেছে, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আনসারদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে নতুন লোকদের পূজা মন্ডপে নিয়োগ দিয়েছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে একযোগে ১২৯টি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। অভিযোগকারীরা জানান প্রতিটি গ্র“প থেকে উক্ত টিআই মোঃ ওমর আলী ১০০০ টাকা করে মোট ১ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে যায়। তাছাড়া প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে নতুন লোককে পূজা মন্ডপে প্রেরণ করেছে। এ বিষয়ে টিআই ওমর আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উপজেলার অধিক গুরুত্বপূর্ণ ৭৬টি পূজা মন্ডপে ৮ জন করে, গুরুত্বপূর্ন ৩৮টি পূজা মন্ডপে ৬ জন করে এবং সাধারণ ১৫টি পূজা মন্ডপে ৪ জন করে মোট ১২৯টি টিম প্রেরণ করেছে। তিনি জানান প্রতিটি টিমে ২জন করে মহিলা ও রয়েছে। ঘুষ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তা অস্বীকার করেন। তাপস সরকার ঘুষ বিষয়ে লিখেছেন ঘুষ ঘুরেরা সুয়োগ পেলে, হাত দেয় মেলে টেবিলের তলে। ঘুষের টাকায় বাড়ি-গাড়ি, ঘুষেই তাদের সংসার চলে। চারদিকে ঘূষের জয়, ফাইল জমে সেই হিমালয়। ঘুষ দিলেই সই হয়, পকেট উঠে ফুলে। এদেশে সত্য বলা অপরাধ, ঘুষ খাওয়া নয়। ঘুষ খোরেরা দলে ভারী, ঘুষ না খেলেই ভয়। এটার সেটার অজুহাতে, ঘুষখোর চায় ঘুষ খেতে। এ বিষয়ে জেলা সার্কেল এ্যাডজুটেন্ট মোঃ তাজুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেননি বলে জানান। তবে তিনি বলেন এ রকম কিছু হলে আমরা খুজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব। এ বিষয়ে জেলা এ্যাডজুটেন্ট মোঃ নূরুল আবসারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেননি বলে জানান। |