Main Menu

দুই দলের সংঘর্ষে নারীসহ দুইজন খুন, আহত ৫০, বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট- অগ্নিসংযোগ

+100%-

মোঃ আব্দুল হান্নান: সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিংকমিটির  নির্বাচন, উপ বৃত্তির অর্থ আত্মসাত পূর্ব শত্রুতা, মামলা মোকদ্দমার জের ধরে শনিবার দুই পহ্মের সাত ঘন্টা ব্যপী সংঘর্ষে  মহিলা ও পুরুষ সহ দুই জন খুন ৫০ জন  আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে । পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই দিনই দুটি লাশ উদ্বার করে থানায় নিয়ে আসে । পর দিন রবিবার সকালে লাশের ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া মর্গে প্রেরন করে । ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ  সন্দেহ জনকভাবে  মোঃ মোহন মিয়া ২২, মোঃ আবু কালাম ২০,  মোছাঃ মর্জিনা বেগম ৩০ কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে । পরদিন তাদের ১৫৪ ধারা আদালতে সোর্পদ করে । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং এলাকার পরিবেশ  শান্ত রয়েছে বলে ওসি মোঃ আব্দুল কাদের দাবী করছে । ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল থেকেবেলা ১ ঘটিকায় পর্যন্ত  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের সাইউক গ্রামে । ঘটনার বিবরনে প্রকাশ গ্রামের মোশাইদ, শাহিন, ফজলু ও বাচ্চু, রোকন গ্রুপের মাঝে গত ৩০ অক্টোবর থেকে সাইউক সরকারি  প্রাথমিক  বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন ও উপবৃওির  অর্থ আত্মসাতের ঘটনার জের ধরে দুই গ্রুপের মাঝে দীর্ঘ দিন ধরে সংঘর্ষ ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে । ওই ঘটনায় ৩০ অক্টোবর শাহীন গ্রুপের বাচ্চু মিয়া নামে একজন  খুন হয় । বাচ্চু খুনের পর থেকে রোখন গ্রুপের লোকেরা দীর্ঘদিন পলাতক থেকে শনিবার বাড়িতে এসে শাহীন গ্রুপের লোকের উপর হামলা চালালে  দুই পহ্মের লোকজনের   মাঝে সংঘর্ষ বাধে ।এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের উপর হামলা চালালে প্রতিপহ্মের পলের আঘাতে বাচ্চু গ্রুপের মোঃ নান্নু মিয়ার ছেলে  মোঃ হারুন মিয়া (৪০) এবং শাহিন মিয়ার  গ্রুপের মোঃ আরজু মিয়ার স্ত্রী  মনা বেগম( ৭০) নিহত হয় । সংঘর্ষে অন্তত আরো ৫০ জন আহত হয় । সংঘর্ষকারিরা ওই সময়ে বিভিন্ন বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ভাংচুর ও লোটপাট করে । খবর পেয়ে  নাসির নগর  থানার আফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল কাদের সঙ্গীয়ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে ।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। স্কুলের  প্রধান শিহ্মক মোঃ নাজমুল হুদা জানান, সংঘর্ষের কারনে স্কুলে পরীহ্মা অনুষ্টিত হয়নি ।






Shares