নাসিরনগরে ১৯ জন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার স্থলে অ-মুক্তিযোদ্ধার নাম ॥ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ
প্রতিনিধি: ওয়েব সাইটে প্রকাশিত খড়সা তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার সাবেক সাংসদ মোজাম্মেল হক, বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার,ডেপুটি কমান্ডারসহ ১৯ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম নেই। অথচয় তাদের স্থলে ১৯ জন অ-মুক্তিযোদ্ধার নাম অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এনিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ র্ফেরয়ারি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক এক লাখ ৭৭ হাজার মুক্তিযোদ্ধার তথ্য সম্বিলিত খড়সা ডাটাবেইজ তৈরি করে ওয়েব সাইটে প্রকাশ করে। এতে নাসিরনগর উপজেলার সাবেক সাংসদ মোজাম্মেল হক,বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোঃ আজাহারুল হক,ডেপুটি কমান্ডার সুনীল দত্ত, উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল হকসহ ১৯ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম নেই। তাদের স্থলে ১৯ জন অ-মুক্তিযোদ্ধার নাম অর্ন্তভূক্ত হওয়ায় এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে উপ-সচিব ও কর্মসূচী পরিচালক,মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় বরাবরে বাদ পড়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অর্ন্তভূক্তি করার জন্য লিখিতভাবে আবেদন করেছেন।উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোঃ আজাহারুল হক জানান, ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর তারিখে নাসিরনগর উপজেলার ৬৩ জন মুক্তিযোদ্ধার পূর্নাঙ্গ ডাটা বেইজ তৈরি করে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ওয়েব সাইটে ১৯ জন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নাম বাদ দিয়ে ১৯ জন অ-মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশিত হয়। ওয়েব সাইটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ি ক্রমিক নং ০২০২৫০০০১ থেকে ০২০২৫০০০১৯ পর্যন্ত (১৯ জন) সকলই অ-মুক্তিযোদ্ধা। বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে রয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হক, (কাপ্তান মিয়া) উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল হকসহ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড গঠনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সকল কমান্ডার ও বর্তমান নিবার্চিত কমান্ডার ও ডেপুটি কমান্ডারের নাম। |
« নাস্তিক মুরতাদ ব্লগারদের ফাঁসির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত »