Main Menu

নাসিরনগরে বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় প্রজাতির সুস্বাদু মাছ

+100%-
প্রতিনিধিঃ- বিভিন্ন বিদেশী হাইব্রিড মাছের চাষের ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন নদনদী, খালবিল, পুকু ডোবা  আর জলাশয় থেকে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির সুস্বাদু মাছ । নাসিরনগর জলাশয় গুলোতে প্রকৃতগত ভাবে যে সমস্ত দেশীয় মাছ বংশ বিস্তার করত ও বেড়ে উদত সেই সমস্ত মাছ আজ অস্তিত্ব বিলিন হতে চলেছে। এক সময়  এ উপজেলার জলাশয় গুলোর মিঠা পানিতে প্রচুর পরিমাণে কই,শিং,বোয়াল, মাগুর, পাবদা, মিনি, টাকি, চিংড়ি, টেংরা (বড় সাদা ও লাল ছোট) , পুটি,দেশীয় সর পুটি, ঘাগট, চিতল , কালবাউছ, দেশীয় পাঙ্গাস, রিটা,মলা,ছেলা,রূপ চাঁদা, চাঁদা ,ইলিশ, বাতাশি, কাতলা, রই,বাইম, গুতুম সহ আরো বিভিন্ন জাতের মাছের সমাহার ছিল। হাওড় অঞ্চল নামে খ্যাত এ উপজেলা বেশ কয়েকটি নাম করা বিল ও জলাশয় রয়েছে।  যেমন বিল শাপলা, মেহেদির হাওড়, উন্মুক্ত জলাশয় ধলেশ্বরী সহ অসংখ্য নদনদী এ উপজেলায় চড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এ সমস্ত বিল ও জলাশয়ের মাছ মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলা সহ রাজধানী ঢাকাতে চালান দেওয়া হত । বর্তমানে আমাদের উপজেলা অধিকাংশ জলাশয়ে দেশীয় মাছ শূন্য করে  অধিক মুনাফা লাভের আশায় বিদেশী ও হাইব্রিড মাছ চাষ করা হয়েছে। আর এস্মস্ত হাইব্রিড মাছ চাষ করতে গিয়ে পোকামাকড় ধ্বংশ করতে জলাশয় গুলোতে অধিক পরিমাণে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এ   সমস্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পোকামাকড়ের  সাথে সাথে দেশীয় মাছের ডিম  ও পোনা ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে। দেশীয় মাছ  বিলুপ্তির অন্যতম মাধ্যম  হচ্ছে কারেন্ট জালের ব্যবহার । সরকারি আইন অমান্য করে কারেন্ট জাল ব্যবহারের ফলে প্রতিকুলতা এড়িয়ে যে সমস্ত দেশীয় মাছ অবস্থান নেয় সে গুলো নিধন করা করা হচ্ছে। তাছাড়া ও আমাদের এলাকায় ফাল্গুন চৈত্র মাসে  ও শুষ্ক মৌসুমে অধিকাংশ নদীনালা , খালবিল, পুকুর ডোবা শুকিয়ে গিয়ে পানি শূন্য হয়ে পড়ে। আর এ সমস্ত শুকানো জলাশয় থেকে শিকারীরা মা ও পোনা মাছ নিধনের ফলে এহেন ও পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।






Shares