আবাদি জমিতে গড়ে উটেছে প্রায় ২৪ টি ইট ভাটা হুমকির মুখে ৩ ফসলী জমি
প্রতিনিধিঃ- মাত্র ৩১০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের উপজেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর। এখানকার মানুষের জীবিকার প্রধান মাধ্যম কৃষি। উপজেলার শতকরা ৯০ জন লোক কৃষক এবং কৃষির উপর নির্ভরশীল। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৩ ফসলী আবাদি জমির উপর গড়ে উঠেছে প্রায় ২৪ টি ইট ভাটা। অনেকটিরই আবার নেই বৈধ কোন কাগজপত্র। পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র ধ্বংস করে এ সব ইট ভাটা পুরোদমে চলছে ইট তৈরী ও পোড়ানোর কাজ। ইটভাটা গুলোতে প্রথম আগুন জ্বালাতে কাঠের প্রয়োজন, তাই প্রতি দিন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মন কাঠ সংগ্রহ করা হচ্ছে। জমির প্রাণ নষ্ট করে তোলা হচ্ছে টপসয়েল। মানা হচ্ছে না পরিবেশ আইন। সোনার টুকরো ফসলী জমি ধ্বংস করে ও শত শত একর জমি দখলে নিয়ে চলছে এ সমস্ত ইট ভাটার কার্যক্রম। জানা যায় পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের আইন অনুযায়ী ইট ভাটা স্থাপনের জন্য ভূমি ব্যবহারে দিক নির্দেশনা মূলক সু-নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। সরকারের ভূমি মন্ত্রনালয় কর্তৃক জারিকৃত আইন অনুযায়ী ইট ভাটা স্থাপনের জন্য কেবল অকৃষি জমি ব্যবহার করা যাবে। অথচ এখানকার ইট ভাটা গুলো দুই তিন ফসলী জমির উপর ঘরে উঠেছে। একটি সূত্রে জানা গেছে প্রতিটি ইট ভাঠা কমপক্ষে ১০ একর কৃষি জমি দখলে নিয়েছে। তথ্য মতে এখানে প্রায় ২৬০ একর উর্বর কৃষি জমি নষ্ট করে গড়ে তোলা হয়েছে এ সমস্ত ২৪ টি ইট ভাটা। এ ছাড়াও প্রত্যেক ভাটার পাশ্ববর্তী আরো কয়েক শত একর কৃষি জমি ভাটার প্রভাবে উর্বরতা হারাচ্ছে। তাছাড়াও দুরদুরান্ত ও বিভিন্ন স্থান থেকে জমির উপরী ভাগের প্রাণ টপসয়েল সংগ্রহের কারণে গুটা উপজেলার কৃষি জমি ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এর আগে উপজেলায় ইট ভাটার সংখ্যা এত ছিলনা। লাভ জনক ব্যবসা বলে বিভিন্ন পেশার লোকজন ইট ভাটার প্রতি মনোনিবেশ করেন। সরজমিন গিয়ে দেখা যায় ফান্দাউকের আশুরাইল, বুড়িশ্বর,ধনকুড়া,কুন্ডা,সোনাতুলা, গোয়ালনগর,চাতলপাড়ের কাঠালকান্দি, হরিপুর, পূর্বভাগ ইউনিয় ভুবন, চাপরতলার উড়িয়াইন ও গোকর্ণ ইত্যাদি স্থানে আবাদি জমির উপরে গড়ে উঠেছে এ সমস্ত ইট ভাটা। সরকারী ভাবে ১২০ ফিট ড্রাম চিমনি ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও অধিকাংশ ইট ভাটা গুলোতে সরকারী নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করে এ সমস্ত চিমনি ব্যবহার করে আসছে। ইট ভাটা গুলোতে কাঠ পুড়ানো নিষিদ্ধ থাকলেও প্রতি দিন হাজার হাজার মন কাঠ পুড়ানো হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও প্ররিবেশ অধিদপ্তর রহস্য জনক কারণে কোন রূপ ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। অধিকাংশ ইট ভাটা লোকালয়ে অবস্থিত হওয়ায় ইট ভাটার কালো ধুয়া পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। |
« ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরভবনে দুঃসাহসিক চুরি (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) নাসিরনগরে বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় প্রজাতির সুস্বাদু মাছ »