Main Menu

নাসিরনগর উপ-নির্বাচন :: নৌকা মার্কায় মনোনয়ন পেলেন সংগ্রাম, কে এই সংগ্রাম?

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) উপ-নির্বাচনে বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করেছে আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের এক সভায় এ মনোনয়ন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ২৪৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) উপ-নির্বাচনে বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে।

কে এই সংগ্রাম ?

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ফকরুল হোসেনের ঘর আলো করে জন্ম নেন এক পুত্র সন্তান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের সময় জন্ম নেয়া সেই শিশুটির নাম রেখেছিলেন সংগ্রাম। কৈশরকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের পতাকাতলে রাজপথে নেমেছেন। সত্তুর ও আশির দশকে দেশের বুকে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা সামরিক শাষনের বিরুদ্ধে বাবা মায়ের অনুপ্রেরণায় নেমে এসছিলেন রাজপথে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের বিখ্যাত গুনিয়াউক বড় বাড়িতে তার জন্ম। বাবা- মা দু’জনেই ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাবা ফকরুল হোসেন একদিকে যেমন মুক্তিযোদ্ধা আবার ছিলেন সাবেক পাকিস্তান ও স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় রেডক্রস সোসাইটির সেক্রেটারি। যুদ্ধের সময় শরণার্থী শিবিরগুলোর ব্যবস্থাপনায় তার ভূমিকা ছিলো অবিস্মরণীয়। এ সময় নিজের বিপদের কথা না ভেবে দেশের প্রয়োজনে ছুটে বেড়িয়েছেন অনেক দুর্গম এলাকায়।

ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের মামাদের মধ্যে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ আর অন্যজন সাবেকমন্ত্রী রাশেদ মোশাররফ যাদের আদর্শ ও অনুপ্রেরণা ছিলো তার রাজনৈতিক পথচলার পাথেয়।

সংগ্রামের ছোটবেলা মানে কৈশরকাল কেটেছে রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত এজিবি কলোনিতে। পড়ালেখা করতেন ঢাকার অন্যতম বিদ্যাপীঠ ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে। সে সময়ই তিনি যোগ দেন ছাত্রলীগে।

১৯৯৩-৯৪ সালে মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দুই বছরের দায়িত্ব পালনের মেয়াদে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দক্ষতার গুনে ১৯৯৩ সালে মনোনীত হন ছাত্রলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য পদে। পরের বছর ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে জায়গা করে নেন সদস্য হিসেবে।

এরপর ১৯৮৮ সালে ঢাকা কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনিত হন। এবং ১৯৯২ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দলের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন।

১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল এই চার বছর গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ২০০২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে এবং ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

শিক্ষা জীবন: ::
১৯৮৮ সালে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ খেকে এস এস সি পাশ করেন। এইচ এস সি শেষ করেন ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৯০ সালে। ৯৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তেকে স্নাতক এবং ৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ২০১৪ সালে এল এল বি ও ২০১৬ সালে এল এল এম ডিগ্রি লাভ করেন।

পেশা জীবন ::

পেশাগত জীবনে তার যে যোগ্যতা অনায়াসেই ভালো কোনো সরকারি চাকরি করতে পারতেন, কিন্তু তিনি চিরাচরিত সময় বাঁধা চাকরি না করে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ব্যবসাকে। বর্তমানে তিনি আমদনীকারক প্রতিষ্ঠান, মেসার্স হোসেন এন্টারপ্রাইজ- এর সত্ত্বাধিকারী।






Shares