Main Menu

নাসিরনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ‘গোকর্ণ নওয়াব বাড়ির’ সামনে অংশ ধসে পড়েছে

+100%-
শনিবার (৩০ মে) সকালে ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টির কারণে বাড়িটির সামনের দক্ষিণ দিকের পুরো অংশ ধসে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে আর অবহেলায় কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে এই পুরার্কীতি বাড়িটি।
নওয়ার বাড়ির বংশধর সৈয়দ রিয়াজ জানায়, সকালে বাতাসের সাথে ভারী বৃষ্টির কারণে ধসে পড়ে বাড়ির দক্ষিণ দিকের বারান্দাসহ পুরো অংশ। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা আশরাফী বাড়িটি পরিদর্শন করেন। এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক ছোয়াব আহমেদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নওশাদ উল্লাহ, স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গোকর্ণ গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ নওশাদ উল্লাহ বলেন, ঐতিহ্য ধরে রাখতে দ্রুত নওয়াব বাড়িটি সংস্কার করা প্রয়োজন।

গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রভাষক ছোয়াব আহমেদ জানান, ধসে পড়ার সংবাদ পেয়ে ছুটে আসি। তিনি উপজেলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে দ্রুত নওয়াব বাড়িটি সংস্কারের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা আশরাফী বলেন, খবর পেয়ে নওয়াব বাড়িটি পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও প্রত্নতত্ত অধিদফতরকে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় যে কয়টি ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে তার মধ্যে গোকর্ণ নবাববাড়ি অন্যতম একটি স্থাপনা। কারুকার্য খচিত শতবর্ষী এই প্রাসাদটি নিমার্ণ করেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের উজ্জ্বল নক্ষত্র মরহুম নওয়াব সৈয়দ সামসুল হুদা।
পরবর্তীতে তাঁর ছোট ভাই ব্যারিস্টার মাসিহো পারিবারিক ওই ভবনের তিন তলার ডিজাইনটি করে বাড়ির সৌন্দর্য্য আরো বাড়িয়ে তোলেন। অনেক দুর থেকেই এই বাড়ির উচ্চতা এখনো মানুষের মন কাড়ে। বাড়ির ভেতরে রয়েছে বাংলো ধরনের দালান, রং মহল।
নবাব শামসুল হুদা নিঃসন্তান ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরই তাঁর বংশের প্রদীপ নিভে যায়। তবে সরাসরি তাঁর বংশধর না থাকলেও তাঁর দাদা ও দাদার ভাইদের মাধ্যমে সৈয়দ বংশের উত্তরাধিকার বা তাঁর বংশ এখনো গোকর্ণে আছে।





Shares