Main Menu

নাসিরনগরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ৩

+100%-

নিজস্ব প্রতিবেদক:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীকে (১৪) একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক বখাটের বিরুদ্ধে। ওই বখাটে মো. সাব্বির মিয়া (২০) নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। ঘটনাটি নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের।

এ ঘটনায় গত রোববার (২১ জুন) মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ধর্ষকসহ ৪ জনকে আসামী করে নাসিরনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই ঘটনায় তিনজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো- ধর্ষক মো. সাব্বির হোসেন, বাবা- আনোয়ার হোসেন ও মা মাহমুদা বেগম।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষক সাব্বির ইলেট্রিক দোকানের একজন কর্মচারী। ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী হরিণবেড় শাহাজান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলের পাশে একটি ইলেট্রিক দোকানের কাজ করত ধর্ষক সাব্বির। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে সাব্বির ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গেল বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর স্কুল থেকে ফেরার পথে স্কুল সংলগ্ন গ্রামীণ ব্যাংকের পেছনে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে সাব্বির। পরবর্তীতে ধর্ষণের ঘটনা সবাইকে বলে দিবে বলে একাধিকবার ধর্ষণ করে কিশোরীকে। বিষয়টি ওই কিশোরীর মা-বাবা জানতে পারে। পরে ২০২০ সালে ২৫ মে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তিতাস শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে কিশোরিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে। যাতে মেয়েটি ২৯ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বার রিপোর্ট আসে। এর পর কিশোরীর বাবা স্থানীয়দের মাধ্যমে ধর্ষকের সাথে বিয়ে দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চায়। ওই প্রস্তাবে ধর্ষকের বাবা রাজিও হয়, এবং বিয়ের খরচবাবদ ৫০ হাজার টাকাও আদায় করে কিশোরীর বাবার কাছ থেকে। বিয়ে বাবাদ আরো টাকা চায় ধর্ষকের বাবা। পরে টাকা দিতে না পারায় বিয়ে ভেঙ্গে দেয় ধর্ষকের বাবা আনোয়ার। এর পরই নাসিরনগর থানায় এসে ২১ জুন মামলা দায়ের করেন কিশোরীর বাবা।

থানার ভেতর অভিযুক্ত ধর্ষক মো. সাব্বিরের সাথে কথা হলে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ফারুক মিয়া জানান, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির করার চেষ্টা হয়। ধর্ষকের বাবা কিশোরীর সাথে বিয়ে প্রস্তারে রাজি হয়ে ৫০ হাজার টাকাও আদায় করেন। পরে কি কারণে বিয়ে হয়নি সেটা আমার জানা নেই।

নাসিরনগর থানা পুলিশ পরির্দশক মো. কবির হোসেন বলেন, কিশোরীর বাবা ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। আমরা ধর্ষকসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছি।






Shares