Main Menu

সাংবাদিক সম্মেলনে সন্তানের জন্য এক পিতার আকুতি

+100%-

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃসরাইলে সাংবাদিক সম্মেলনে মোঃ আনোয়ার হোসেন আবুল (৫২) নামের এক পিতা তার পাঁচ সন্তানকে ফিরে পেতে আকুতি জানিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন ভাবে কৌশলে ২৬ লক্ষাধিক টাকা ও সন্তানদের নিয়ে আত্মগোপনে থেকে মিথ্যা তালাকনামা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা পারভীনের বিরুদ্ধে। নানা ভাবে নির্যাতন ও ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টার কথাও জানিয়েছেন। তিনি এখন স্ত্রী নয়, পাঁচ সন্তানকে ফিরে পেতে চান। বাবা ডাক শুনতে চান।

সকালে সরাইল প্রেস ক্লাবে জাতীয়, স্থানীয় দৈনিক ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার কর্মীদের দাওয়াত করে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আবুল লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। উচালিয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্ধা আবুল বলেন, একাধারে ছয় বছর প্রবাসে ছিলাম। ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে সূর্যকান্দি গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে মাহমুদাকে ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে বিয়ে করি। বিয়ের পর আরো ৮ বছর ছিলাম সৌদীতে। ভালই চলছিল দাম্পত্য জীবন। নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কার সব দিয়েছি স্ত্রীকে। একে একে পাঁচ সন্তানের বাবা হয়। ছেলে- আসিকুর রহমান প্রিন্স (১৮), নাসিম (০৫), মেয়ে- নাজনীন আক্তার পাপিয়া (২১), জান্নাতুল মাঈশা (১৫) ও জান্নাতুল মাওয়া (০৮)। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে সে। টাকা পয়সা ও শ্রম দিয়ে তাকে জয়ী করি। চেয়ারে বসার পর পাল্টে যায় আমার স্ত্রী। উচ্চ বিলাসী হয়ে পড়ে। আমার সাথে খারাপ আচরন শুরু করে। হঠাৎ একদিন সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। আমাকে পুলিশ দিয়ে নানা ভাবে নির্যাতন করে। থানায় জিডি ও করেছি। এক পর্যায়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমার স্বাক্ষর নকল করে ডিভোর্জ দেওয়ার প্রচারনা চালায়। সে আমার সন্তানদের মিথ্যা ও ভুল বুঝিয়ে বাবা ডাক শুনা থেকে বঞ্চিত করেছে। গত রমজানের আগে ছেলে প্রিন্সের সাথে মুঠোফোনে ও সরাসরি একাধিকবার কথা হয়েছে। কোচিং করার জন্য পুকুরের জায়গা বিক্রি করে ছেলেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। তারপর তাকে যেন মাহমুদা কি বুঝিয়েছে। এখন ছেলে আমার ফোন ধরেছে। আমার পাঁচ সন্তান এখন তার মত পথভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ভুগছি। আমার দাবী ও আকুতি একটাই স্ত্রী নয়, আমার পাঁচ সন্তানকে ফেরত চাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাহমুদা পারভীন বলেন, জায়গা জমি স্বর্ণালঙ্কার সব আমার নিজের টাকায় ক্রয় করা। তাকে নির্যাতন বা হত্যার চেষ্টার বিষয়টি বানোয়াট। সে আমাকে অনেক লাঞ্ছনা দিয়েছে। অপমান অপদস্ত করেছে। ছেলে মেয়ে যদি তার কাছে চলে যায় আমার কোন আপত্তি নেই।






Shares