Main Menu

চরম দুর্নীতি:: সরাইল উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ৩৪ জন চিকিৎসকের মধ্যে উপস্থিত ৬ জন

+100%-


৭ মাসে ১টি সিজার

মোহাম্মদ মাসুদ ,সরাইল ::সরাইল উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ৩৪ জন চিকিৎসকের মধ্যে গতকাল শনিবার উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৬ জন।

অন্যরা কোথায়?

এমন প্রশ্নের উত্তরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, ১০ জন প্রশিক্ষণে, ৩ জন কনসালটেন্ট ডেপুটেশনে জেলা সদরে আর ৬ জন উপজেলার বিভিন্ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থাকার কথা। আর আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো: নোমান মিয়া সহ বাকিরা মৌখিক ছুটিতে রয়েছেন।

জনৈক চিকিৎসকের ৪ দিনের অনুপস্থিতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে টিএইচও’কে জেলার

এক প্রভাবশালী সাচিব নেতার রোষানলে পড়ার বিষয়টি চাউর রয়েছে গোটা হাসপাতালে।

অত্যাধুনিক ওটি থাকার পরও চলতি বছরে মাত্র ১টি সিজার হয়েছে এ হাসপাতালে।

সরজমিনে দেখা যায়, অফিস সময় সকাল ৮টা মানছেন না কেউই। অধিকাংশ চিকিৎসকের

কক্ষ ফাঁকা। সকাল ৯টায় এসেছেন ডা. মো: জসিম উদ্দিন। সাড়ে নয়টায় এসেছেন ডা:

হালিমা নাজনিন ও ডা: মুহিববুর রহমান। ১০টায় এসেছেন ডা: মাজহারুল ইসলাম। আর

ডা: সৈয়দা তাছরিন আহমেদ এসেছেন ১০টা ১৫ মিনিটে। খোদ টিএইচও ডা: হাসিনা

আখতার বেগম এসেছেন ১০টা ৫৫ মিনিটে।

ওদিকে দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা টিকিট নিয়ে চিকিৎসকের অপেক্ষা করছেন। আখিঁতারা গ্রাম থেকে আসা জনৈক মহিলা বলেন, ৪০ মিনিট হয়েছে টিকিট কেটে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। ডাক্তার আসার খবর নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী বলেন, দেশের প্রথম শ্রেণীর

কর্মচারীদের দ্বারা এমন তান্ডব আগে কখনো দেখিনি। ৪/৫ দিন না এসে জোর পূর্বক

হাজিরা খাতায় পেছনের স্বাক্ষর গুলো করে ফেলেন। ১০টা/১১টার পর অফিসে এসে আবার

১২টার পরই চলে যান। কি বলব সকলই প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়ে ব্যস্ত।

এই হাসপাতালে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ একটি অপারেশন থিয়েটার (ওটি) রয়েছে। আশে পাশের একাধিক নাম সর্বস্ব প্রাইভেট হাসপাতালে মাসে ১৫-২০ টি অপারেশন হলেও রহস্যজনক কারনে সরকারি এ হাসপাতালে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে গতকাল পর্যন্ত মাত্র একজন মহিলার অপারেশন হয়েছে।

গত ৭ মাসের অপারেশনের তথ্য চাইলে কর্তৃপক্ষ একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীকে তলব করতে থাকেন। তারা একে অপরের কথা বলে সময় ক্ষেপন করেন। প্রায় ১ ঘন্টা বসিয়ে রেখেও কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদককে অপারেশনের তথ্য দেননি। সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা: হাসিনা আখতার বেগম অপারেশন না হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এনেসথেশিয়া চিকিৎসক নেই।

এ ছাড়া ট্রেইন্ড ষ্টাফের অভাব রয়েছে। পাশের প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোতে কিভাবে অপারেশন হচ্ছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাদের সাথে আমাদের তুলনা করলে চলবে না। কারন আমাদের অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়।   






Shares