সরাইলে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে রুজিনা বেগম (১৮) নামের এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে শাহবাজপুর আতকা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ মৃত্যুকে ঘিরে রুজিনার শ্বশুড় বাড়ি ও বাবার বাড়ির লোকজনের রয়েছে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, ছয় মাস পূর্বে দিঘির পাড় এলাকার আনার মিয়ার স্কুল পড়–য়া কন্যার সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় আতকা বাজার এলাকার লিবু মিয়ার প্রবাসী পুত্র মহরম মিয়ার। বিয়ের তিন মাস পর মহরম মিয়া ফের সৌদী আরব চলে যায়। গতকাল দুপুরে রুজিনা তার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা আটকে দেয়। বাড়ির কোথাও খুঁজে না পেয়ে শ্বশুড় লিবু মিয়া রুজিনার কক্ষের দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে। অনেকক্ষণ পর দরজা ভেঙ্গে কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন গলায় ওড়না পেছানো অবস্থায় বৈদ্যুতিক পাখায় গৃহবধুর লাশ ঝুলছে। সেখান থেকে তারা নিজেরা নামিয়ে অন্য একটি কক্ষের খাটে লাশ শুইয়ে রাখেন। রুজিনার শ্বশুড় হাজী লিবু মিয়া জানান, আজ (গতকাল) সকালে রুজিনাকে নিতে এসেছিলেন তার পিতা। তার ননদ যেতে দেয়নি। এতে মনক্ষুন্ন হয় রুজিনা। কিছুক্ষণ পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ওদিকে নিহত গৃহবধুর পিতা আনার মিয়া, মা ছায়েরা বেগম (৪৭), চাচা তাজু মিয়া সহ স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, এ বিয়েতে রুজনার শ্বাশুড়ি সুফিয়া বেগমের (৫০) মত ছিল না। তাই বিয়ের পর থেকেই শ্বাশুড়ি ও ননদ পাবিয়া (১৬) মিলে রুজিনার উপর অত্যাচার নির্যাতন করছে। তাকে মানসিক ভাবে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে। রুজিনা মুঠাফোনে তার শাররিক অসুস্থ্যতার কথা জানায়। তাই গতকাল রজিনাকে আনতে যায় তার বাবা। তারা তাকে আসতে না দিয়ে উল্টো গৃহবধুর পিতা আনার মিয়াকে গালমন্দ করে অপমান করে দেয়। হঠাৎ তারা দুপুরে খবর দেয় রুজিনা আত্মহত্যা করেছে। এত ছোট ওড়না দিয়ে রুজিনা আত্মহত্যা করতে পারে না। তারা (শ্বশুড় বাড়ির লোকজন) তাকে মেরে আত্মহত্যার ঘটনা সাজিয়েছে। আমরা আমাদের মেয়ের নির্যাতন ও হত্যার বিচার চাই। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলী আরশাদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে লাশের ময়না তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিব।