Main Menu

সরাইলে কুকুরে কামড়ানো ভেড়াকে খাসি বলে মাংশ বিক্রি

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল,প্রতিনিধি ::
সরাইলে কুকুরে কামড়ানো ভেড়াকে জনৈক কসাই তড়িগড়ি করে জবাই করে মাংশ বিক্রি করেছেন। বিক্রয়ের সময় খাসির মাংশ বলে প্রচার করেছেন।

তবে এক ব্যক্তি বিয়ের পরবর্তী অনুষ্ঠানে খাওয়ানোর জন্য মাংশ নিয়েছেন আট কেজি। খাওয়ার পর জানতে পেরেছেন খাসি নয়, এটা কুকুরে কামড়ানো ভেড়ার মাংশ। এখন জলাতঙ্ক রোগ আতঙ্কে রয়েছেন পুরো এক গ্রামের মানুষ। ডাক্তার ও পরামর্শ দিয়েছেন ভেকসিন নেয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালিকচ্ছ বাজার ও নোয়াগাঁও গ্রামে। স্থানীয় লোকজন জানায়, গত ১৪ মার্চ কালিকচ্ছ বাজারে খাঁসির মাংশ বলে দেদারছে বিক্রি করেছেন কসাই মোঃ হুকামিন মিয়া (৩৫)।

সে জেলা সদরের পৈরতলা গ্রামের চেরাগ আলীর পুত্র। শহরের লাখী বাজারে নিয়মিত মাংশের ব্যবসা করে আসছে। হুকামিনের শ্বশুড় বাড়ি নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চওড়াগোদা গ্রামে। ওইদিন কালিকচ্ছ বাজারে তার কাছ থেকে  মনিরবাগ গ্রামের বাসিন্ধা আতিকুর মঈশান (৪৮) ছেলের বিয়ের পরবর্তী অনুষ্ঠানে গ্রামের কিছু লোককে খাওয়ানোর জন্য পুরো মাংশই নিয়ে যান। গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক ওই মাংশ খেয়েছে। পরে ওই রাতেই আতিকুরের সহোদর ছোট ভাই মাহাবুব জানতে পারেন খাঁসি নয়, এটা ছিল কুকুরে কামড়ানো একটি ভেড়া। দাওয়াত খাওয়া সকলেই বিষয়টি জানার পর অস্বস্থ্যিবোধ করতে থাকেন। আতঙ্ক গ্রস্থ হয়ে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন। সব শেষে চলে যান সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে।

ডাক্তার তাদেরকে কুকুরে কামড়ানো ভেড়ার মাংশ খাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে দ্রুত প্রত্যেকে ভেকসিন নেওয়ার পরমর্শ দেন। এ খবরে পুরো গ্রামে আরো দ্রুত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এত গুলো ভেকসিন এক সাথে না পাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন তারা। ওদিকে ধামাচাপা দিয়ে বিষয়টিকে কোন রকমে নিস্পত্তির চেষ্টা করছেন গ্রামের কিছু শালিসকারক। কসাই হুকামিন মিয়া বলেন, আমি শ্বশুড় বাড়ির এলাকার লিলুর বাড়ির নিধন মিয়ার কাছ থেকে ভেড়াটি এনেছিলাম। ভেড়ার মাংশকে খাঁসির মাংশ বলে বিক্রি করেছি তবে কুকুরে কামড়ানোর বিষয়টি আমি নিশ্চিত নয়। সরাইল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডাঃ নোমান মিয়া বলেন, ওই রাতে তারা অনেক লোক আমার কাছে এসেছিল। বিষয়টি জেনে আমি তাদেরকে দ্রুত ভেকসিন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।






Shares