Main Menu

ভ্রাম্যমান আদালতে পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত শিউলী আজাদ ও মন্তুর অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ , সরাইল : গত ৫ জানুয়ারীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরাইলের একটি কেন্দ্রে জোরপূর্বক ভোট ছাপিয়ে ফেলার অভিযোগে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রাপ্ত উম্মে ফাতেমা সালমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ ও যুবলীগ নেতা এ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তুকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে পাঁচ বছরের জেল দিয়েছিল সিনিয়র জজ কামাল হোসেন শিকদার। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারিক ওই দুই আসামীর অন্তবর্তী কালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন। সেই সাথে পরবর্তী আপিল শুনানির তারিখ ও নির্ধারন করেছেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামী গতকাল সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে আত্মসমর্পন করে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এখতিয়ার না থাকায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সাথে সাথে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরন করেন। সেখানে আসামী পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন এ্যাডভোকেট শেখ বাহারুল ইসলাম ও রাষ্ট্র পক্ষে কথা বলেন সরকার নিযুক্ত পিপি এ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন খান মাসুম। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্কের পর ওই দুই আসামীর অন্তবর্তী কালীন জামিন মঞ্জুর করেন জেলা দায়রা জজ কাওছার মিয়া। আসামীদের আপিল পিটিশনের শুনানি আগামী ১৯ জানুয়ারী রোববার ধার্য্য করেছেন আদালত। এ্যাডভোকেট বাহারুল ইসলাম বলেন, সংক্ষিপ্ত বিচারে অভিযুক্ত ব্যক্তির অনুপস্থিতি ও বক্তব্য না শুনে অন্য কারো কথায় রায় দেওয়া বিধি সম্মত নয়। শিউলী আজাদ ও মন্তুর বিরুদ্ধে দেওয়া রায় মোটেও সঠিক হয়নি। এ রায় ঠিকবে না। প্রসঙ্গত: একই ঘটনায় জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে জোবেদা খাতুন, কোহিনুর বেগম ও নাছিমা বেগম নামের তিন মহিলা সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে ওই আদালত তিন বছরের কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করেছিল। তিনদিন কারা ভোগের পর গত ৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার তারা তিনজন জেলা দায়রা জজ মোঃ কাউছার মিয়ার আদালতে আপিল করে অন্তবর্তী জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তাদের অন্তবর্তী কালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন। বর্তমানে তারা ও জামিনে রয়েছেন।






Shares