Main Menu

পিডিবি অফিসের তেলেসমতি : বিশ মাসে ও সংশোধন হয়নি একটি বিল

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ , সরাইল :আমি পিডিবি’র নিয়মিত একজন গ্রাহক। গত ২০০২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বিদ্যুত ব্যবহার করে আসছি। কোন বকেয়া নেই আমার। আমার বাসা থেকে সরাইল বিক্রয় ও বিতরন বিভাগের অফিসের দূরত্ব মাত্র ত্রিশ গজ। মাঝে মধ্যে মিটার রিডার ও বাসায় আসেন। মিটার দেখেন। খাতায় নোট নেন। কখনো দুই’শ কখনো একশ রিডিং-এর বিল আসছে। পরিশোধ করছি নিয়মিত। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসের একটি বিল হাতে পেয়ে আশ্চর্য হলাম। রিডিং ২৫০। এপ্রিল মাসের দেওয়া বিল ৩৪৭ টাকা যোগ করে ১৩৮৬ টাকার একটি বিল আমার উপর চাপিয়ে দিল। ব্যাংকের কাগজ নিয়ে অফিসে গেলাম। অফিস সহকারি সাইফুল ইসলাম বললেন, কোন সমস্যা নেই। কমিয়ে দিচ্ছি। আগামী মাসে সব ঠিক হয়ে যাবে। বিলটি কেটে ১৩৮৬ টাকাকে করলেন ১০২২ টাকা। ব্যাংকে টাকা জমা দিলাম। জুন মাসে সংশোধন হয়নি। অফিসে গেলে একই সুর আগামী মাসে ঠিক হয়ে যাবে। এ ভাবে গত বিশ মাসে ত্রিশবার অফিসে ধরনা দিলেও বিষয়টি সংশোধন হয়নি আদৌ। তারা শুধু বিলটি কেটে কমিয়ে দিয়েই দায় সারেন। তাদের দেখানো বকেয়া ৩৪৭ টাকা এখন সুদসহ হয়েছে ৪৪৯ টাকা। আর সংশোধন হবে কিনা সেটা পিডিবি নয় আল্লাহই ভাল জানেন। কথা গুলো অত্যন্ত ক্ষোভ ও আক্ষেপের সাথে বলেছেন, সরাইল বিডিবি’র একজন গ্রাহক হোসনেয়ারা বেগম (৭০)। হিসাব নং- এ/৫৫৮৬। সদর ইউনিয়নের বড়দেওয়ান পাড়ার বাসিন্ধা তিনি। তিনি বলেন, অফিসের এত কাছে আমার বাসা তারপরও এমন হয়রানি হতে হচ্ছে। উপজেলার ১৬ হাজার গ্রাহকের ভোগান্তি এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। বাসা থেকে প্রায় সময়ই দেখি বিদ্যুত অফিসে লোকজন হাঙ্গামা করছে। অফিস ভাংচুর করছে। আবার কর্মচারীদের মারধোর করার ঘটনা ও ঘটে থাকে। আসলে অনেক কষ্ট এবং আঘাত পাওয়ার পরই গ্রাহকরা উত্তেজিত হয়ে এমনটি করে। এ বিষয়ে স্থানীয় পিডিবি অফিসের উচ্চমান সহকারি মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আগামী মাসে হবে। এমন অনেক বিষয় পড়ে আছে। কুমিল্লা যেতে পারছি না। কুমিল্লা অফিসের লোকজনও এমন বিল সংশোধন করতে কিছুটা গড়িমসি করে। সরাইল পিডিবি’র বিক্রয় ও বিতরন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী  মোঃ মোশাররফ হোসাইন তার অধস্থন কর্মচারীদের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, আগামী মাসে এ বিলটি সংশোধন না হলে আমি আপনাদের দেখে নেবো। প্রসঙ্গতঃ সরাইলে পিডিবি’র ১৬ হাজার গ্রাহক ভৌতিক বিলের চাপে কাবু হয়ে পড়েছেন। মাস শেষ হলেই শত শত মহিলা পুরুষ ভীড় করেন পিডিবি অফিসে। অভিযোগ একটাই অতিরিক্ত বিল। রিডিং এর সাথে বিলের কোন মিল নেই। এনালগ সরিয়ে ডিজিটাল মিটার লাগানোর পরও এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছে না গ্রাহকরা। একাধিকবার তারা মিটিং মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে স্বারকলিপি দিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা সভায় ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোন অগ্রগতি নেই।






Shares