সরাইলে শান্তিপূর্ণ হরতাল
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল থেকে : মহাজোট সরকারের পদত্যাগ ও তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবীতে বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘন্টা হরতালের গতকাল প্রথম দিন সরাইলে যথাযথ ভাবে পালিত হচ্ছে। সকাল ৭টা থেকে দলীয় নেতাকর্মী ও পিকেটাররা মাঠে নামে। তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের কুট্রাপাড়া মোড় ও বিশ্বরোড মোড়ে দীর্ঘক্ষণ মিছিল এবং পিকেটিং করেন। মহাসড়কে দূর পাল্লার কোন যানবাহন ও অটোরিক্সা চলাচল করেনি। ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন উজ্জ্বলের নেতৃত্বে হরতাল সমর্থন কারীরা সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়ক ও সরাইল- অরুয়াইল সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ ছাড়া শাহবাজপুর, কালিকচ্ছ ও চুন্টায় ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা সকাল থেকেই পিকেটিং করেছে। বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমূহ সকাল থেকেই বন্ধ থাকে। সকাল সোয়া দশটায় কিছু নেতৃবৃন্ধ উপজেলার বেশ কিছু দফতর বন্ধ করে ফেলার জন্য চাপ দেয়। ফলে গতকালের হরতালে অনেক সরকারি কর্মকর্তা আতঙ্ক গ্রস্থ হয়ে পড়েন। হরতালের কারনে মহাসড়ক সহ অন্যান্য সড়কে যানবাহন না থাকায় সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা পায়ে হেঁটে অফিসে আসেন। ব্যাংক গুলোতে বিলম্বে কার্যক্রম শুরু হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে উপস্থিতি ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় কম। সকাল সাড়ে নয়টায় উপজেলা বিএনপি ও সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক আনিছুল ইসলাম ঠাকুর, আনোয়ার হোসেন মাষ্টারের নেতৃত্বে ও বিএপি’র অপর যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডভোকেট আবদুর রহমানের নেতৃত্বে পৃথক দুটি মিছিল সরাইল সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পথ সভায় মিলিত হয়। পরে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা কুতুব উদ্দিন ও সম্পাদক মোঃ এনাম খা’র নেতৃত্বে একটি মিছিল এবং ইসলামী ঐক্যজোটের সম্পাদক হাজী ইসহাকের নেতৃত্বে একটি মিছিল সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক আনিছুল ইসলাম ঠাকুর ও যুবদল ছাত্রদলের নেতত্বাধিন মিছিলে যোগ দেন। বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী মহাজোট সরকারের বর্তমানে কোন বৈধতা নেই। তারা তাদের গুন্ডা বাহিনী দিয়ে এখন মানুষ হত্যার রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবী না মানলে আমরা রাজপথ ছাড়ব না। কর্মসূচীর পর কর্মসূচী দিয়ে দেশ অচল করে দিব। দূর্নীতিবাজ হাসিনা সরকারকে এ দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। গত ২৫ অক্টোবর বিরোধী দলের পাঁচ নেতা কর্মীকে হত্যার মাধ্যমে গনতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। ওই শহীদদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এই মূহুর্তে সংলাপে বসতে পারেন না। |