Main Menu

সব দল না গেলে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে না, মানুষ দুই রাহুর হাত থেকে মুক্তি চায় -এরশাদ

+100%-

 

মো. মাসুদ : বৃহস্পতিবার সন্ধায় হবিগঞ্জ যাওয়ার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের বিশ্বরোড মোড়ের পথ সভায় জাতীয় পার্টীর চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, দেশ ও দেশের মানুষ আজ মোটেও ভাল নেই। ক্রমশই সংঘাতের দিকে যাচ্ছে দেশ। মহা সংকটের সময় আমি আপনাদের সাথে দেখা করতে এসেছি। আমি অভিভূত হয়েছি পথসভা জনসভায় রুপ নিয়েছে। আমার প্রতি আপনাদের ভালবাসা ও সমর্থন আছে। আপনারা আমার পাশে দাঁড়ালে আমি অবশ্যই আপনাদের সহযোগীতা করব। মহাজোটে গিয়েছিলাম। আশা করেছিলাম গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। দেশে ফিরে আসবে সুখ শান্তি। খুন নির্যাতন চাঁদাবাজী বন্ধ হবে। কোনটাই হয়নি। এ মূহুর্তে আমি দেশের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত। নির্বাচন হবে কি হবে না তাও নিশ্চিত না। দুই নেত্রীর রশি টানাটানিতে দেশে সংঘাত বেড়েই চলেছে। আওয়ামীলীগ আন্দোলন করে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এনেছে। তারাই আবার তা বাতিল করেছে। তাদের দ্বিমুখী নীতি জনগন মেনে নেবে না। জনগন দুই রাহুর হাত থেকে মুক্তি চায়। সকল দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহন না করলে জাতীয় পার্টীও অংশ নিবে না। জাতীয় পার্টী অংশ না নিলে এ দেশে নির্বাচন হবে না। দুই দল আলোচনা করুক। সুষ্ঠ্য সিদ্ধান্ত নিয়ে গনতন্ত্র রক্ষা করুক। আওয়ামীলীগ হেফজতের উপর খুব অবিচার করেছে। ইসলামের জন্য আমরা অনেক কিছুই করেছি। শুক্রবার সরকারি ছুটি রেখেছিলাম। মসজিদ ও মাদ্রাসার বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করে দিয়েছিলাম। আবার ক্ষমতায় এলে গ্যাস ও বিদ্যুতের বিল মওকুফ করব। ইসলাম রক্ষা করতে হলে জাতীয় পার্টীর দরকার। এরশাদ বলেন, ক্ষমতায় থাকা কালে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্যাস ও যোগাযোগ হাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। বিশ্বরোড দেখিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এ মহাসড়ক আমারই করা। তিনি জনগনেকে অনুরোধ করে বলেন, আমাকে জীবনের শেষ বারের মত ভোট দিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ দিন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২ আসনের দলীয় প্রার্থী হিসেবে এ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের প্রার্থী এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম ভ’ইয়ার নাম ঘোষনা করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টীর যুগ্ম মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার, জাতীয় পার্টীর প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আদেল, এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম ভূইয়া, কাজী মামুনুর রশিদ, সাবেক মন্ত্রী জিয়াউদ্দিন বাবলু প্রমূখ।   






Shares