Main Menu

সরাইলে গ্রেপ্তারের পর আসামী ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

+100%-


সরাইল প্রতিনিধিঃ সরাইলে গ্রেপ্তারের পর থানা থেকে আসামী ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টির পক্ষে কবুল বলেছেন সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। গত শুক্রবার থানায় এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে চরম ক্ষুদ্ধ হয়েছেন বাদী নজরুল ইসলাম। বাদী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ভোর বেলা আবদুল আহাদের নেতৃত্বে কিছু লোক ধান ব্যবসায়ী নজরুলের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। পরিবারের সকলকে দেশীয় অস্রের মুখে জিম্মির পর মারধর করে। এ সময় তারা নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা, স্বর্ণলঙ্কার ও অন্যান্য জিনিষপত্র লুটে নেয়। এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সরাইল থানায় একটি মামলা করেন। গত শুক্রবার রাতে মামলাটি নথিভুক্ত হয়। মামলার প্রধান আসামী আবদুল আহাদ (৫৫)। রাতেই অভিযান চালিয়ে বাদীর সহায়তায় মামলার প্রধান আসামী আবদুল আহাদ কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পরই আসামীকে ছাড়িয়ে নিতে তদবিরে নেমে পড়েন উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শাহজাহান মিয়া। আসামী পক্ষের লোকজন এক লাখ টাকার চুক্তি করেন। পরে বার ঘন্টা থানা হেফাজতে থাকা আসামী আবদুল আহাদকে গতকাল শুক্রবার দুপুর বারটায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। ওদিকে বাদী নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আসামী আবদুল আহাদ থানা থেকে এসে আমার হাত পা কেটে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমাকে খুন করে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে সব চাপা দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছে আহাদ। তাই আমি বর্তমানে গ্রামের বাহিরে অবস্থান করছি। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আবদুল আহাদ অসুস্থ বয়স্ক লোক। এ ছাড়া রমজান মাস। তাই চেয়ারম্যানের অনুরোধে তাকে সাময়িক জামিন দিয়েছি। তবে পুরো বিষয়টির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আছে। উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শাহজাহান মিয়া বলেন, টাকার বিষয়টি শতভাগ মিথ্যা। তিনি শাররীক ভাবে খুবই অসুস্থ্য এবং খুবই ভাল মানুষ। ডাক্তারের সনদ ও ব্যবস্থা পত্র রয়েছে। তাই আমার জিম্মায় তাকে থানা থেকে নিয়ে এসেছি। প্রয়োজন হলে থানায় হাজির করব।






Shares