Main Menu

সরাইল থানা কম্পাউন্ডে চুরি হচ্ছে পুলিশ হেফাজতে থাকা গাড়ির যন্ত্রাংশ

+100%-

প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানা কম্পাউন্ডে চুরি হচ্ছে গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ। ঢুকে সচল গাড়ি। বের হয় অচল হয়ে। নানা দূর্ঘটনার শিকার পুলিশ হেফাজতে থাকা এসব গাড়ির যন্ত্রাংশ প্রতিনিয়ত চুরি হলেও থানার দায়িত্বশীল কর্তাবাবুরা রহস্যজনক কারণে নীরব। অভিযোগ আছে, থানার অসাধু কিছু পুলিশ সদস্য ও পুলিশের কতিপয় সোর্স মিলে এসব গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে বিক্রি করছে।  
উপজেলা সদরের আর.আর পরিবহন নামে সিএনজি অটোরিকশার মালিক সৈয়দ রাকিবুর রহমান বলেন, গত ৪ জুন রাতে আমার একটি অটোরিকশা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড় এলাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় দুই ছিনতাইকারীসহ অটোরিকশাটি পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ৫ জুন আমি মামলা করি। পরে আদালতের নির্দেশে গত ২৪ জুন থানা কম্পাউন্ডে পুলিশ হেফাজতে থাকা অটোরিকশাটি বুঝে নেওয়ার সময় দেখা যায় গাড়িতে ব্যাটারি নেই। ব্যাটারিবিহীন গাড়িটি ঠেলে নিতে হয়েছে। ছয় হাজার টাকায় গাড়ির ব্যাটারি কিনতে হয়েছে।
উপজেলা অটোরিকশা মালিক সংগঠনের একাধিক নেতা জানান, নানা দূর্ঘটনার শিকার পুলিশ হেফাজতে থাকা গাড়ির নানা যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা অহরহ। এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। সরাইল উপজেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোঃ ওয়াসিদ আলী বলেন, পুলিশ হেফাজতে থাকা গাড়ির শুধু ব্যাটারি নয় চাকাসহ ইঞ্জিন চুরির নজির রয়েছে এখানে।      
ভূক্তভোগীরা জানান, পুলিশ হেফাজতে গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনায় তারা দুইদিকে ক্ষতিগ্রস্তের শিকার। আদালতের নির্দেশ থাকার পরও মোটা অঙ্কের টাকা না দিলে পুলিশ গাড়ি ছাড়তে নানা তালবাহানা করে।
সম্প্রতি সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মোঃ শওকত আলীর হেফাজতে থানা কম্পাউন্ডে থাকা একটি সিএনজি অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি হয়। গাড়ির মালিকপক্ষ এ বিষয়ে তার কাছে প্রতিকার চেয়েও সদুত্তর পায়নি। তিনি জানান, এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই তার করার নেই।  
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার চক্রবর্তী এ বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে না পারলেও তিনি বলেন, বিষয়টি সত্যিই লজ্জাজনক।






Shares