সরাইলে জলমহাল ইজারা,সভা না করেই স্বাক্ষর আদায় ও সিদ্ধান্ত
প্রতিনিধিঃ সরাইল উপজেলা জলমহাল ইজারা কমিটির সভায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সভা না করেই ঘুরে ঘুরে আদায় করা হচ্ছে স্বাক্ষর। কমিটির সদস্য ২৩ জন। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাত্র ২/৩ জন কর্তা ব্যাক্তি। বুধবার দুপুর ২টায় সভা করার কথা থাকলেও সকাল ১০টায় কাজ শেষ করে ফেলেছেন। দাওয়াত পত্র ও পাননি অনেকে। খোদ উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সভা না করে স্বাক্ষর দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। উপজেলা দফতর সূত্রে জানা যায়, জলমহাল ইজারা কমিটিতে সরকারি কর্মকর্তা, ৯ জন চেয়ারম্যান, মৎসজীবি সমবায় সমিতির প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সহ মোট ২৩ জন সদস্য। ওই কমিটি সভা করে আলোচনার মাধ্যমে ২০ একর বা তার কম পরিমানের খাস পুকুর গুলো লীজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল দুপুর ২টায় সভা হবে মর্মে সদস্যদের নিকট পত্র প্রেরন করেন নির্বাহী কর্মকর্তা। কিন্তু রহস্যজনক কারনে সকাল ১০টায় ২/৩ জন কর্মকর্তা সভার কাজ শেষ করে ফেলেন। পরে পিয়ন পাঠিয়ে অন্য কর্মকর্তার স্বাক্ষর আদায় করেন। অনেকে স্বাক্ষর দেননি। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাঃ ফাতেমা বেগম ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ হোসেন সভায় না গিয়ে রেজুলেশনে স্বাক্ষর দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ইউএনও স্যার বলেছে। তাই স্বাক্ষর করে ফেলেছি। উপজেলা মৎস কর্মকর্তা এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, জলমহাল কমিটির সভায় ৫ জন হলেই কোরাম হয়ে যায়। সভার আগে পরে অনেক সময় স্বাক্ষর করে আমরা একটা মিল মিশ করে ফেলি। আপনাদের কিছু করার থাকলে করে ফেলেন। কমিটির সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা উছমান উদ্দিন খালেদ, আবু মুছা উছমানী মাসুক ও হাজী রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, আমরা এ বিষয়ের কোন দাওযাত পত্র পায়নি। এ বিষয়ে জানতে কমিটির সভাপতি ও নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান খান বলেন, আমরা ২টা মিটিং ১২টায় করে ফেলেছি। দ্বিতীয় ড্রপিং-এ মাত্র ৬টি সিডিউল ড্রপ হয়েছিল। কোরাম হয়েছে তাই দ্রুত করে ফেলেছি। |