Main Menu

সরাইলে স্কুল বন্ধ দিয়ে সালিশ সভা

+100%-


প্রতিনিধিঃ সরাইলে এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বসানো হয়েছে শালিস সভা। পুরো মাঠ জুড়ে সাটিয়েছেন বিশাল আকারের প্যান্ডেল। শিক্ষাথীরা যথা নিয়মে বিদ্যালয়ে আসছে। প্রধান শিক্ষক দাঁড়িয়ে থেকে বলছেন আজ কাশ হবে না। স্কুল বন্ধ। বই হাতে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। কোন রকম পূর্ব ঘোষনা ছাড়া পাঠদান বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অনেক অবিভাবক। শনিবার সকালে উপজেলার চুন্টা এ সি একাডেমী নামক বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে। খোদ প্রধান শিক্ষক একটি কাশ নিয়ে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা জানায়, শনিবার সকাল ছয়টা থেকেই বিদ্যালয়ের মাঠে শুরু হয় প্যান্ডেল তৈরীর কাজ। নয়টায় শেষ হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে অতিথিরা আসতে শুরু করেন। সাড়ে নয়টার দিকে আসতে থাকে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের মাঠে বিশাল আকৃতির প্যান্ডেল দেখে তারা বিস্মিত হয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক ও ততক্ষনে বিদ্যালয়ে উপস্থিত। তিনি আগত শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেন আজ ক্লাশ হবে না। কারন স্কুলের মাঠে সালিশ সভা বসবে। ছুটি পেয়ে শিক্ষার্থীরা খুশি হলেও ক্ষুদ্ধ হন অভিভাবকরা। সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান বন্ধ করে দিয়ে সালিশ সভা করতে হবে এমনটি মানতে নারাজ তারা। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সমগ্র গ্রাম জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। আব্দুর রাজ্জাক সহ একাধিক অভিভাবক ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, সংঘর্ষ বন্ধে সালিশ সভা হবে। এটা অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ। সালিশের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ ও সেনবাড়ির মত জায়গা থাকতে ছেলে মেয়ের পাঠদান বন্ধ করে দিতে হবে এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান নান্নু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সালিশের কারনে সভাপতির সাথে কথা বলে একটি কাশ নিয়ে ছুটি দিয়ে দিয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ছাইদুর রহমান বলেন, মাঠে সালিশ সভার কারনে বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখা সম্পূর্ণ বে-আইনী। এটা তারা ঠিক করেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান খান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খুঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব।
প্রসঙ্গতঃ গত দেড় বছর যাবৎ অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের দু’গোষ্টীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে। এ পর্যন্ত খুন হয়েছে চার জন। পুলিশসহ আহত হয়েছে চার শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু। মামলা হয়েছে দেড় ডজনের মত। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে অর্ধশতাধিক বাড়ি ঘর। ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ও ঘটেছে। বাড়ি ছেড়ে যাযাবরের মত জীবন যাপন করছে গ্রামের লোকজন। বিষয়টির আপোষ নিস্পত্তিতে বিবদমান দুই পক্ষকে রাজি করানোর জন্যই ডাকা হয়েছে এ সভা। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এডভোকেট আব্দুস সাত্তার ভ’ঁইয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শাহজাহান মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ মজিবুর রহমান, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধ।






Shares