Main Menu

সরাইলে লাউগাছ কর্তন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মাথায় হাত

+100%-
প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ফলন্ত লাউগাছ রাতের আধাঁরে কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশীরা এমনটি করেছে বলে থানায় অভিযোগ করেছে এ কৃষক। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ গ্রামে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এলাকার শত শত মানুষ এ দৃশ্যটি দেখার জন্য লাউ বাগিচায় ভীড় করছেন। সুদের টাকায় পরিশোধের চিন্তায় পথে বসেছে একই পরিবারের তিন কৃষক।
তিগ্রস্ত কৃষক ও এলাকাবাসী জানায়, কালীকচ্ছ ধর্মতীর্থ এলাকায় ছয় বিঘা জমি এক বছরের জন্য ৬০ হাজার টাকায় জমা নেন কৃষক করিমসহ তারা তিন ভাই। মহাজনখেকে চড়া সুদে তিন লাখ টাকা এনে তারা এই জমিতে দেড় হাজার লাউগাছ ও এক হাজার সিম গাছ রোপন করে। বর্তমানে গাছগুলোতে ভাল ফলন দেখা দিয়েছে। গত শুক্রবার থেকে তাদের চাষ করা জমির ফলন বিক্রি শুরু হয়েছে। কৃষকদের এই ফলনে ইর্শ্বান্বিত হয়ে দুর্বৃত্তরা শুক্রবার গভীররাতে জমির সকল গাছের গুঁড়ি কেটে ফেলে। এতে গাছগুলো ঢলে পড়েছে। গাছে এখনো লাউ ঝুলছে। কৃষক করিম মিয়া অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশী কামরুল ও মাহবুবা বেগম এই জমি জমা নিয়ে চাষাবাদ করতে চেয়েছিল। জমির প্রকৃত মালিক তাদের না দিয়ে আমাদেরকে দেয়ায় তারা চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়। একপর্যায়ে আমরা এখানে কিভাবে ফসল ফলায় তারা দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। তারাই পরিকল্পিতভাবে এ কাজটি করেছে। এতে অন্তত ১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি ।
অভিযুক্ত মাহবুবা বেগম ও কামরুল মিয়া তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জমির জমা নিয়ে তাদের সাথে ঝামেলা হলেও এসব গাছ আমরা কাটিনি।
ধর্মতীর্থ গ্রামের হাজী তালেব হোসেন (৮৫) বলেন, আমার জীবনে গাছের সাথে শত্রুতা কখনো দেখিনি। এটা খুনের সামিল। কৃষকরা এখন পথে বসতে হবে। গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ ছায়েদ হোসেন বলেন, কাজটি অত্যন্ত জঘন্য ও ক্ষমার অযোগ্য। যারাই এ কাজটি করে থাকুক খুঁজে বের করে গ্রামবাসী তাদের বিচারের ব্যবস্থা করবেন। কালীকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ তকদীর হোসেন বলেন, এ ঘটনাটি আমি সরেজমিন গিয়ে দেখে এসেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার চক্রবর্তী বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত চলছে।





Shares