Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আ’লীগ নেতাদের মাটির কারবারে ক্ষতবিক্ষত তিতাস

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে তিতাস নদীর পূর্বাংশের খনন কাজের নামে স্থানীয় প্রভাবশালী ক’জন আ’লীগ নেতা মাটির কারবার শুরু করে দিয়েছেন। তারা ভেকু দিয়ে নদীর পাড় ও এর আশপাশ এলাকা এলোপাতাড়িভাবে খনন করে নদীর মাটি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে চলেছেন। স্থানীয় লোকদের অভিযোগ আ’লীগ নেতারা খননের নামে তিতাস নদীকে ক্ষতবিক্ষত করছেন। এলাকাবাসী জানান, জেলার বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক কাজী হারিছুর রহমানের নেতৃত্বে ক’জন আ’লীগ নেতা গ্রামের মসজিদের মাইকে স্বেচ্ছায় নদী খননের ঘোষণা দেন। পরে তারা গত বছরের ৮ ডিসেম্বর উপজেলার বুধন্তী এলাকায় নদীর পাড়ে একটি নাম ফলক নির্মাণ করেন। এতে লেখা আছে ‘ স্বেচ্ছাশ্রমে তিতাস নদীর পূর্বাংশের খনন কাজের উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন।’ কিন্তু বাস্তবে এই কাজের উদ্বোধন করতে এখানে পানি সম্পদ মন্ত্রী আসেননি। এখন আ’লীগ নেতারা উদ্বোধনের ওই ফলক পুঁজি করেছে এবং নদীর মাটির কারবার করে টাকা কামিয়ে যাচ্ছেন। নেতারা এ কাজে এলাকায় মন্ত্রী ও এমপির নাম ভাঙ্গাচ্ছে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, আ’লীগ নেতা হারিছুর রহমানের নেতৃত্বে নদীর মাটি বিক্রি হয়। এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ বা বাধা দিলে প্রভাবশালীরা হুমকি-ধমকি দেন। প্রতিদিনই নদী ও এর আশপাশ এলাকায় মাটি কেটে বেশকিছু ট্রাক্টর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।  বুধন্তী ইউনিয়নের শশুই গ্রামের নাছির মিয়া, আব্দুল আওয়াল, ইটভাটার শ্রমিক জসিম উদ্দিন সহ অনেকে জানান, আ’লীগের ৪/৫ জন নেতা মিলে নদীর পাড়ের মাটি বিক্রি করছেন। ইসলামপুর গ্রামের সমাজপতি মলাই মিয়া, কৃষক নান্নু মিয়া ও দোকানী দুলাল মিয়া জানান, আ’লীগ নেতা হারিছ মিয়া, জিতু মিয়া, জামাল মিয়া, চেয়ারম্যান নজরুল মিয়া ও শিক্ষক শামীম মিয়া মিলে নদীর মাটি বিক্রি করেন। নদীর পাড়ে মাটি থাকার নিয়ম থাকলেও তারা প্রতি ট্রাক মাটি পাঁচশত টাকা করে বিক্রি করছেন। প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। শশুই, ইসলামপুর, বিন্নিঘাট ও বীরপাশা এ চার গ্রামের লোকজন জানান, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কিছু আ’লীগ নেতা স্বেচ্ছাশ্রমে নদী খননের নামে সরকারী জায়গার মাটি কেটে নিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করলে আ’লীগ নেতা কাজী হারিছুর রহমান বলেন, আমরা এমপি’র নির্দেশে নদী খননের কাজ শুরু করেছিলাম। আবার তার নির্দেশেই খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। কিছু দখলদার এ কাজের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা মাটি অন্যত্র বিক্রি করিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।







Shares