Main Menu

সরাইলে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দিনদিন যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলায় নয় মাসে ৫৬৮ জন যক্ষ্মা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। তবে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, পর্যাপ্ত ওষুধ ও মাঠ পর্যায়ে জনবল নিয়োগ করা আছে।

২০১৬ সালে উপজেলায় যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৫৯ জন। ২০১৫ সালে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫৪৬ জন। ২০১৪ সালে যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫৬৮। এ বছর জুলাই, আগষ্ট, সেপ্টেম্বর (তিন) মাসে সরাইলে ১৮১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার হাসপাতাল সূত্রে জানায়, উপজেলায় সরাইলে এ ধরনের রোগের প্রকোপ ক্রমেই বাড়ছে । গত বছরের তুলনায় এ বছর নয় মাসের হিসাব (৩টি কোয়াটার) পাওয়া যায় ৫৬৮ জন ও তিন মাসে ১৮১ জন যক্ষ্মা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে । এ বছর ডিসেম্বর র্পযন্ত আরো যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে তারা মনে করেন।

১২ থেকে ৫০ বছরের উর্ধ্ববয়সী নারী-পুরুষ যক্ষ্মা রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এর পেছনে তিনটি কারণকে তারা দায়ী করেছেন। কারণগুলো হচ্ছে-অপুষ্টি, পরিবারের একজনের শরীর থেকে অপরজনের শরীরে জীবাণু ছড়ানো এবং অঞ্চল বিশেষ রোগের জীবাণুর সক্রিয় অবস্থান থাকা।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্র্যাক যক্ষ্মা আক্রান্তদের চিকিৎসা সুবিধা দিচ্ছে। ওষুধের কোন ঘাটতি নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবি করেছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে, অপুষ্টি, ছোঁয়াচে জীবাণু কারণে যক্ষ্মা রোগের বিস্তার বাড়ছে। তাছাড়া বয়োবৃদ্ধজনিত কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসায় যক্ষ্মা জীবাণু সহজে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। ‘যক্ষ্মা রোগ নিরাময়ের জন্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে দীর্ঘমেয়াদী ওষুধ সেবনের কোর্স শেষ করতে হয়। ফলে অনেক রোগী ২-৩ মাস ওষুধ সেবনের পর আর খেতে চায় না বা হাসপাতালে আসে না। এ কারণে পুনরায় রোগটি শরীরে দানা বাঁধতে থাকে। তবে, আমাদের মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীরা রোগীর বাড়িতে গিয়ে ওষুধপত্র দিয়ে খাইয়ে আসেন। আক্রান্ত ব্যক্তির কফ যেখানে-সেখানে ফেলা যাবে না। তাদের কফ মাটি গর্ত করে পুতে ফেলার নিয়ম রয়েছে।’

উপজেলা যক্ষ্মা ও কুষ্ট নিয়ন্ত্রক সহকারী মো. আমিরুল ইসলাম ভ’ইয়া জানায়, প্রতি বছর তিন মাস পর পর একটি কোয়াটার করে যক্ষ্মা রোগী সনাক্ত করা হয়ে থাকে গত বছরের তুলনায় এ বছর নয় মাসের হিসাব (৩টি কোয়াটার) পাওয়া যায় ৫৬৮ জন যক্ষ্মা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে । এ বছর ডিসেম্বর র্পযন্ত আরো যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মনে করেন।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কাজী আইনুল ইসলাম বলেন, সরাইল উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্র্যাক যক্ষ্মা আক্রান্তদের চিকিৎসা সুবিধা দিচ্ছে। ওষুধের কোন ঘাটতি নেই । অপুষ্টি, ছোঁয়াচে জীবাণু কারণে যক্ষ্মা রোগের বিস্তার বাড়ছে। সরাইলে এ ধরনের রোগের প্রকোপ ক্রমেই বাড়ছে । তবে, এ রোগ মোকাবিলায় আমাদের পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীরাও কাজ করছেন।






Shares