Main Menu

সরাইলে পুলিশ হেফাজতে ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ , থানায় মামলা , আটকঃ ১

+100%-
সরাইল প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পুলিশ হেফাজতে নজির আহমেদ (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার(২১  এপ্রিল) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত নজির আহমেদ উপজেলার সদর ইউনিয়নের নিজ সরাইল গ্রামের মোল্লাবাড়ির হাফেজ উবায়দুল্লাহ এর পুত্র ও  জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছির এর ছোট ভাই।
মৃত নজির আহমেদের বড় ভাই হোসাইন আহমেদ তফছির বলেন,  আমার  ছোট ভাই নজির আহমেদ আমাদের এলাকায় একটি বাড়ি ক্রয় করে। এর  পর থেকেই স্থানীয় মেম্বার মোশাহেদ উল্লাহর যোগসাজসে এলাকার একটি কুচক্রী মহলের সাথে আমার ভাই এর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতরাত ৯ টা ৪৫ মিনিটের দিকে একই এলাকার প্রতিপক্ষ হেলাল মিয়ার পুত্র জুম্মান মিয়া (৩৫) আকর্ষিকভাবে নজির আহমেদ এর বাড়ির একটি কক্ষে ঢুকে এ সময় এলাকার লোকজন ও স্থানীয় মসজিদের মুসল্লিরা ঐ বাড়িতে এসে জড়ো হয়। এরই ফাঁকে সরাইল থানার এসআই সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঐ বাড়িতে এসে জুম্মান মিয়াসহ আমার ছোট ভাই নজির আহমেদকে থানায় নিয়ে যান।
 তিনি আরও বলেন, আমি থানা গেইটে যাওয়ার পর শুনতে পাই আমার ভাইকে আহত অবস্থায় দুইজন পুলিশ সদস্য সরাইল হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। পরে হাসপাতালে গিয়ে আমি আমার ভাই এর মৃত্যু সংবাদ শুনতে পাই। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানতে পারি হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই আমার ভাই এর মৃত্যু হয়েছে। পুরো ঘটনায় স্থানীয় মোশাহেদ উল্লাহ মেম্বার ও সরাইল থানা পুলিশের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। একটি বড় কুচক্রী মহল আমার ভাইকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।
এ ব্যপারে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, আমাদের উপর আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। জুম্মানসহ নজির আহমেদকে থানায় নিয়ে আসার পর নজির আহমেদ অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে সরাইল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ব্যপারে মৃত  নজির আহমেদের ভাই জাফর আহমেদ বাদী হয়ে মোশাহেদ উল্লাহ মেম্বারসহ ১৩জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলার ২ নং আসামী জুম্মানকে আটক করা হয়েছে।





Shares