Main Menu

সমাধানে ৪ কর্তার ঠেলাঠেলি!

সরাইলে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ৪৮ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন শতাধিক গ্রাহক

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ সরাইল পিডিবি’র উদাসীনতা ও ঠেলাঠেলির কারণে দুই গ্রামের শতাধিক গ্রাহক গত ৪৮ ঘন্টা ধরে রয়েছে অন্ধকারে। অচল হয়ে গেছে তাদের মুঠোফোন ও ফ্রীজ গুলো। রাতের অন্ধকারে চুরি ছিনতাইয়ের আতঙ্ক ও বেড়ে গেছে। দায়িত্বে নিয়োজিত লোকজন সমস্যা সমাধানে চরম উদাসীনতা দেখাচ্ছে। গ্রাহকদের অভিযোগ মোটা অংকের বাণিজ্য আছে, তাই ইটভাটায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজে তারা ব্যস্ত। গ্রামের সাধারণ গ্রাহকদের দীর্ঘ সময়ের দূর্ভোগ লাঘবে তারা নিরব।

স্থানীয় ভুক্তভোগী গ্রামবাসী জানায়, নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার দক্ষিণ পাড়ায় গত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে একটি ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যায়। সাথে সাথে কাটানিশার গ্রামের বাসিন্ধা মুরাদ খান নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানান। নির্বাহী প্রকৌশলী সহকারী প্রকৌশলী হেলালের নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করার পরমর্শ দেন। মুরাদ খান হেলালের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে ১০ বার অভিযোগটি জানিয়েছেন। মন গলেনি হেলাল সাহেবদের। হেলাল আলম নামের আরেক ব্যক্তির নাম্বার দিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য যোগাযোগ করতে বলেন। আলম ৩০-৩৫ ঘন্টা ঘুরিয়ে গত বুধবার সন্ধ্যার একটু আগে বলেন, আমাকে অনুমতি দেয়নি। কর্তাব্যক্তিদের অনুমতি ছাড়া কাজ করতে পারব না। আপনরা সুমনের সাথে যোগাযোগ করুন।

বৃহস্পতিবার সকালে সুমনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে জানায়, ‘আমি চানপুরে কাজে ব্যস্ত আছি। আসতে পারব না। একে একে ৪ জনের সাথে যোগাযোগের পর ব্যার্থ হয়ে হতাশ হলেন মুরাদ। গ্রামবাসীর কষ্ট সহ্য করতে না পেরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর (১টা ৩০ মিনিটে) এক্সেনকে আবারও ফোন দিলেন মুরাদ। কিন্তু এ যাত্রা এক্সেন আর মুরাদের ফোন রিসিভ করলেন না। দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা প্রত্যেকেই দায়িত্ব অন্যজনের উপর চাপিয়ে দেওয়ার কারণ খোঁজে পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।

ওদিকে গত ৪৮ ঘন্টা ধরে আইরল উত্তর পাড়ার একাংশসহ দুই গ্রামের শতাধিক গ্রাহক অন্ধকারে বসবাস করছে। রাতের গ্রাম গুলোতে বিরাজ করছে ভূতুরে অবস্থা। সকলের মুঠোফোন গুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফ্রীজে রক্ষিত কাঁচা মালামাল পঁচে গলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশী দূর্ভাগে পড়েছে ওই এলাকার জেএসসি পরীক্ষার্থীরা। বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে তারা ঠিকমত পড়াশুনা করতে পারছে না। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ট্রান্সফরমারটি মেরামত বা পরিবর্তনে কোন ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় পিডিবি। ওই গ্রামের বাসিন্ধা আব্দুর রাশিদ, রাসেল মিয়া, মোশাররফ ও মিজান মিয়া বলেন, বিদুৎ নেই আজ ৩দিন। অফিসে যোগাযোগ করলেই বলেন লোক আসতেছে। আসবে। কিন্তু আসছে না। উনারা নাকি অনেক টাকা পাইয়া ইটভাটায় লাইন দেওয়ার কাজে ব্যস্ত। আর মানুষের কোন দাম নেই।

সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) মো. মাঈন উদ্দিন বিদ্যুৎ না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ভাই এখনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।






Shares