Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার ইন্তেকাল

+100%-
মোহাম্মদ মাসুদ,  সরাইল। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা (৮৪) শনিবার ভোর তিনটায় ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

 এক সপ্তাহ আগে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি ছয়বারের সংসদ সদস্য ছিলেন।

আব্দুস সাত্তার ভূঞার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন যাবৎ  কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে গত এক সপ্তাহ আগে তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার ভোর ৩টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার প্রত্যন্ত ও হাওরবেষ্টিত পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ ভূঞা ও রহিমা খাতুনের সন্তান । ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন।  তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।

উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তিতে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ও জুনের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্রেট মন্ত্রী হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির দলীয় প্রার্থী হয়ে ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন। তিনি পেয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট।

গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারিতে এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রত্যক্ষ সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (কলার ছড়া) হয়ে তিনি ওই নির্বাচনে জয়ী হন।

আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার পারিবরিক সত্রে জানা যায়, আজ শনিবার তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ চত্বরে। পরে জেলা ও উপজেলা সদরে এবং গ্রামে জানাজা শেষে পরমানন্দপুর গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।






Shares