Main Menu

আজ সরাইলের ‘ধর্মতীর্থ গণহত্যা দিবস’

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ আজ ১৮ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের “ধর্মতীর্থ গণহত্যা দিবস”।
উপলক্ষে আজ সোমবার বিকাল ৫টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল এর সভাপতিত্বে এক দোয়ার আয়োজন করা ও সকল শহিদদের প্রতি ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ।
অনুষ্টানে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ এড. জিয়াউল হক মৃধা, , সরাইল উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ড, এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
১৯৭১ সালের এই দিনে (১৮ অক্টোবর) ধর্মতীর্থ এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদরদের নিয়ে উপজেলার চুন্টা ও কালীকচ্ছ ইউনিয়নের শতাধিক নারী-পুরুষকে একত্র করে (যার অধিকাংশ সংখ্যালঘু) নির্যাতন করে গণহত্যা করে। এটি সরাইলে “ ধর্মতীর্থ গণহত্যা” নামে পরিচিত।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ৬ অক্টোবর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একদল মুক্তিযোদ্ধা মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উপজেলার কালীকচ্ছ ধর্মতীর্থ এলাকায় স্থানীয় রাজাকার প্রধান, সরাইল থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মুসলিগলীগ নেতা ও পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তা (ক্যাপ্টেন) এ.রহমান খানসহ কয়েকজন পাকসেনাকে হত্যা করেন।
যুদ্ধকালীন সময় পাকিস্থানী সেনা কর্মকর্তা (ক্যাপ্টেন) এ.রহমান খানসহ কয়েকজন পাকসেনা নিহত হওয়ার পর পাকিস্থানী সেনারা এর প্রতিশোধ নিতে ১৮ অক্টোবর ধর্মতীর্থ এলাকায় গণহত্যা চালায়। ওই দিন শতাধিক নর-নারীকে (যার অধিকাংশ সংখ্যালঘু) হত্যা করা হয়।’ এটি ধর্মতীর্থ গণগত্যা নামে পরিচিত। ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সরাইল উপজেলার ধর্মতীর্থ এলাকায় সেই বধ্যভূমিটি সংরক্ষেণের জন্য সাইনবোর্ড স্থাপন করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর সাবেক সংসদ সদস্য এড. জিয়াউল হক মৃধা বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে (১৮ অক্টোবর) ধর্মতীর্থ এলাকায় বর্বর পাকিস্থানি সেনা, রাজাকারসহ তাদের এ দেশীয় সহযোগীরা উপজেলার চুন্টা ও কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ৪৬ জন নারী-পুরুষকে একত্র করে নির্যাতন করে গণহত্যা করে। এটি ধর্মতীর্থ গণগত্যা নামে পরিচিত।
অনুষ্টানে সকলেই নিহত পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান ও শহিদদের জন্য দোয়া করেন।






Shares