বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান
সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করণে অর্জিত সাফল্যের দ্বারা অব্যাহত রাখতে হবে
“সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা: সবার জন্য সর্বত্র” বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে গতকাল ৭ এপ্রিল, শনিবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে সারাদেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাতেও এই দিবসটি পালিত হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ নিশিত নন্দী মজুমদারের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৯ জেলা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণ হতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিএমএ ভবন সদর হাসপাতালে এসে শেষ হয়। সকালে সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় বিএমএ ভবনে আলোচনা সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ নিশিত নন্দী মজুমদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক অরবিন্দু দত্ত।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোহিনী আক্তার। এনজিওদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন স্বদেশি’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নাজবাহুল ইসলাম।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশকে আরও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচীর কাঙ্খিত লক্ষে পৌছানোর জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করণে অর্জিত সাফল্যের দ্বারা অব্যাহত রেখে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তি পর্যায়কেও এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডাঃ নিশিত নন্দী মজুমদার বলেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা এমন অধিকার যার আওতায় প্রত্যেক ব্যক্তি সর্বত্র প্রয়োজনীয় মান সম্মত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বিকাল ৩টায় নার্সিং ইন্সটিটিউটে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।