সমাজের শান্তি শৃংখলা যারা নষ্ট করে তাদের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে.. মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন
পীরবাড়ী ও শরীফপুরের ঝগরা শালিসী মিমাংসায় নিস্পত্তি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পীরবাড়ী ও শরীফপুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংগঠিত গত কয়েকদিনের গোষ্ঠিগত ঝগরা অবশেষে শালিসী মিমাংসায় নিস্পত্তি করা হয়। এ উপলক্ষে এক শালিসী সভা গতকাল সকালে সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে সভায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ট শালিস কারক হাজী তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মুসলিম মিয়া, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মহসিন মিয়া, সাবেক কমিশনার আলহাজ্ব মোঃ মহসিন মিয়া, নাটাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল মিয়া, পৌর কাউন্সলর মোঃ শাহ আলম, মোঃ আবুল বাশার, সাবেক চেয়রাম্যান মোঃ আব্দুর রউফ, মোঃ নিজাম উদ্দিন, মোঃ মালফুজ আলী, মোঃ হাববিুল্লাহ বাহার, মোঃ হানিফ, মোঃ মোবারক মিয়া, মোঃ কাশেম মাস্টার, মোঃ আলমগীর মেম্বার সহ শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সভায় উভয় পক্ষের বিদ্ধমান সমস্যা সমজতার ভিত্তিতে মিমাংসা করা হয় এবং ঝগরায় উভয় পক্ষের ক্ষতি গ্রস্থদের অর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য উভয় পক্ষকে জরিমানা করা হয়। এছাড়া স্থায়ীভাবে ঝগরা নিরসনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়। সভায় উভয় পক্ষ উপস্থিত থেকে সমস্ত সিধান্ত মেনে নেয় এবং পূনরায় যাতে এ ধরনের ঘটনার পূনরাবৃত্তি না ঘটে সেই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করে। সভায় মেয়র বলেন, ছোট ছোট ঘটনার সূত্রধরে বড় ধরনের দূর্ঘটনা সৃষ্টি হয়। ছোট ছোট সমস্যা গুলিকে তাৎক্ষনিক ভাবে নিজেরাই মিমাংসা করলে তা আর বৃহৎ আকার ধারণ করে না। অথচ সমাজের মুষ্ঠিময় স্বার্থনেশী কিছু মহল সেই ছোট ঘটনা গুলিকে নিজেদের স্বার্থে ই›ন্ধন দিয়ে বড় করে তোলে। যার ভুক্তভুগী হয় সাধারন মানুষ। তিনি বলেন সমাজের শান্তি শৃংখলা রক্ষায় সাহেব-সর্দার, ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকলকেই সহনশীল মনোভাব দেখাতে হবে। তিনি সমাজের শান্তি শৃংখলা যারা নষ্ট করে তাদের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানান। উল্লেখ্য যে গত সাপ্তাহে শহরের পীরবাড়ী ও শরীফপুরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিগত কয়েকদিনে কয়েক দফা লুটপাট ও হমালার ঘটনায় দুই পক্ষেরই প্রায় দুই শতাধীক ব্যবাসায়ী প্রতিষ্ঠান ক্ষতি গ্রস্থ হয়। অনেক মানুষ হতাহত ও আটকের শিকার হয়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে দুই এলাকার মানুষের মধ্যে। অনেক মানুষ ঘড়বাড়ি ছেড়ে পালায়। ঝগরা অবশেষে গতকাল শালিশী মিমাংসায় নিস্পত্তি হয়। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।