Main Menu

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের অভিযোগ

+100%-

শামীম উন বাছির :::বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন বরিশল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুস সালামের কন্যা আছমা আক্তার সুমি। সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামের আছমা আক্তার সুমি অভিযোগ করে বলেন, তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম জীবিত থাকা অবস্থায় বরিশল গ্রামের বিভিন্ন মৌজার ও বিভিন্ন দাগের ১৪ বিঘা ধানী জমি একই আবদুর রহমান ওরফে সাজন মিয়ার ছেলে ইউপি সদস্য ছাদেক মিয়ার কাছে বর্গা দেন। তার বাবা জীবিত অবস্থায় তারা জমির অর্ধেক ধান পেতেন কিন্তু তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম গত ৮ বছর আগে মৃত্যু বরণ করলে ছাদেক মেম্বার জাল দলিল তৈরী করে  ১৪ বিঘা জমি দখল করে নেন।


এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরা ছাদেক মেম্বারের বিরুদ্ধে থানায় ও আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেন। একটি মামলার তদন্তে সাদেক মেম্বারের বিরুদ্ধে জাল দলিল তৈরীর বিষয়টি প্রমানিতও হয়। এমনকি আদালত সাদেক মেম্বারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিলেও তিনি আদালতের নির্দেশ অম্যান্য করে বিরোধপূর্ন জমি নিজ দখলে রেখেছেন।


সংবাদ সম্মেলনে আছমা আক্তার সুমি বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে এলাকার চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন শেরশাহ ও তার পরিষদের সকল সদস্য পুরো গ্রামের লোকজনকে নিয়ে একাধিকবার সালিশ করলেও ছাদেক মেম্বার সালিশের রায় মানছেন না।


এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাদেক মেম্বার বলেন, আছমা আক্তার সুমির অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। এই সম্পত্তি আমি ওয়ারিশ সূত্রে আমার পিতার কাছ থেকে পেয়ে ৩০ বছর ধরে ভোগ-দখল করে আসছি। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের লোকজন আমার বিরুদ্ধে প্রায় ১ডজন মামলা করে আমাকে হয়রানী করে আসছে।


এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবদুর রব বলেন, সাদেক মেম্বারের বিরুদ্ধে থানায় এই সম্পত্তি নিয়ে একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশী প্রহরায় আমরা একবার মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে ধান কেটে দিয়েছি। তিনি বলেন, শুনেছি বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে এলাকার চেয়ারম্যান ও তার পরিষদের সকল সদস্য পুরো গ্রামের লোকজনকে নিয়ে একাধিকবার সালিশ করছেন। কিন্তু ছাদেক মেম্বার সালিশের রায় মানছেন না।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন শেরশাহ বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে একাধিকবার সালিশ হলেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি।






Shares