Main Menu

সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন মিলনায়তনে ওয়ার্কাস পাটির জেলা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

+100%-

জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ওয়ার্কার্স পার্টি সংসদের বাইরে ও ভিতরে জনগণের পক্ষে লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রাখছে।বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনিছুর রহমান মল্লিক বলেন, আজকের দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। স্বাধীনতার ৪৩ বছরের মাথায় আমাদের ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মনিরপেক্ষতায় কতটা নিরাপদ।

সাম্রাজ্যবাদীরা দেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। বাংলাদেশে আজকে মার্কিনীরা তাদের ঘাটি বানাতে চায়। দুর্নীতি, লুটপাট, সাম্রাজ্যবাদী, প্রেসক্রিপশন নির্ভর, পরিকল্পনা, বাংলাদেশের উন্নয়নে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের দল হিসেবে ওয়ার্কার্স পার্টি  সেই বাঁধা অপসারণ করবে। আমরা শুধু সরকারের সাথে থেকে সরকারী সকল কাজে সমর্থন করি না। জনগণের স্বার্থে সরকারের গণবিরোধী কর্মকান্ডে বিরোধীতাও করি।
তিনি আরো বলেন, খাদ্যে আমরা স্বয়ং সম্পূর্ণ কিন্তু কৃষককে মেরে সম্ভব নয়। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচতে জাতি বাঁচবে। আজকে শ্রমজীবী মানুষ খুব কষ্টে আছে। আজকে সরকার গার্মেন্টস কর্মীদের বেতন ভাতা কিছুটা বাড়িয়েছে তাই সরকারকে ধন্যবাদ।

মৌলবাদী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য বাম বিকল্প শক্তি গড়ে তুলার আহবান জানিয়ে বলেন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ওয়ার্কার্স পার্টি সংসদের বাইরে ও ভিতরে জনগণের পক্ষে লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রাখছে।

তিনি গতকাল  বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন মিলনায়তনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

জেলা সম্পাদক এড. কাজী মাসুদ আহমেদ সভাপতিত্বে ও জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা কমরেড নজরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদ সভাপতি এড. আখতার হোসেন সাঈদ, কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, ন্যাপ সভাপতি এড. শফিকুর রহমান, শ্রমিক নেতা ফুল মিয়া ভূইয়া, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবু সাইদ খান, নারী নেত্রী ফজিলাতুন্নাহার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সংস্কৃতিকর্মী সাংবাদিক মনির হোসেন, যুবমৈত্রী নেতা শরীফ আহমেদ খান, শ্রমিক নেতা শামসুল আলম, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা কে এম আহসান উল্লাহ জুয়েল। অনুষ্ঠানের পূর্বে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কমরেড আনিছুর রহমান মল্লিক। পরে একটি লাল পতাকা সজ্জিত বণ্যার্ঢ্য র‌্যালী শহর প্রদিক্ষণ করে।

সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে প্রতিনিধি সভা এড. কাজী মাসুদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান মল্লিকের উপস্থিতিতে শহরের সম্মতিক্রমে এড. কাজী মাসুদ আহমেদকে সভাপতি ও আবু সাঈদ খানকে সাধারণ সম্পাদক ও কমরেড নজরুল ইসলাম, দীপক চৌধুরী বাপ্পী ও ফজিলাতুন্নাহারকে সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য করে  ১১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন কে এম আহসান উল্লাহ জুয়েল, এড. মোঃ নাসির, মোঃ নাসির মিয়া, বরকত হাজারী, শামসুল আলম, দ্বিজেন ঘোষ।  






Shares