Main Menu

ডিটিএইচ বিরোধী কোয়াব: শনিবার আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপরেখা

+100%-

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাত্র দুটি প্রষ্ঠিানকে কেবল সংযোগ ছাড়াই টিভি অনুষ্ঠান সম্প্রচার এবং বিতরণের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ডাইরেক্ট টু হোম বা ডিটিএইচের লাইসেন্স দেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামছেন সারাদেশের কেবল অপারেটররা।এজন্যে কেবল অপারেটিং-এ জড়িত প্রায় ছয় লাখ মানুষ খুব শিগগির ঢাকায় জড়ো হচ্ছেন বলে আভাস দিয়েছেন কেবল অপারেটর আ্যসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সাবেক সভাপতি আনোয়ার পারভেজ।

তিনি বলেন, আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করতে আগামী শনিবার তারা বৈঠকে বসছেন। সেদিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কবে নাগাদ ঢাকায় সমাবেশ করবেন তারা।

জানা গেছে, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ৩২টি আবেদনের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো কমিউনিকেশন এবং বায়ার মিডিয়া লিমিটেড নামে দুই প্রতিষ্ঠানকে এই লাইসেন্স দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে। ওই সূত্রটি আরও জানায়, নতুন করে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর পেছনে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে আনোয়ার পারভেজ জানান, কেবল অপারেটররা শুরু থেকেই ডিটিএইচ লাইসেন্স দেওয়ার বিরোধিতা করে আসছেন। এর আগেও সরকার এ ধরনের লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে এগোতে পারেনি। কিন্তু এবার লাইসেন্স দেওয়ার আগ পর্যন্ত পুরো বিষয়টি চেপে রাখা হয়।

তিনি বলেন, কেবেলর মাধ্যমে টিভি অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। পরোক্ষভাবে আছেন আরো তিন লাখ। তারা দেশের প্রায় ৫০ লাখ টিভিতে কেবল সংযোগ চালিয়ে থাকেন। গড়ে তিনশ টাকা হারে এ খাত থেকে প্রতি মাসে আদায় হয় কমপক্ষে ১৫০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বছরে এই খাতে বাণিজ্য হয় দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি।

এ ব্যাপারে কোয়াবের সাবেক সভাপতি আরো বলেন, ডিটিএইচ চালু হলে অপারেটরদের ব্যবসা চলে যাবে ডিটিএইচ প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে। তখন প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা চলে যাবে দেশের বাইরের ডাউনলিংক কোম্পানিগুলোর কাছে। আর হাতে গোনা দেশীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মুনাফা করবে শত শত কোটি টাকা। আর না খেয়ে মরবে কেবল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত লাখ লাখ মানুষ।

‘এর মাধ্যমে সরকার বেকারত্ব দূর করার বদলে আরো বেকার সৃষ্টি করতে চলেছে’- মন্তব্য করে আনোয়ার পারভেজ আরো বলেন, সরকারের উচিৎ বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থ দেখা। কিন্তু তার বদলে দু’একজন ব্যবসায়ীর স্বার্থ দেখছেন মাত্র।

উল্লেখ্য, কেবল সংযোগ ছাড়াই স্যাটেলাইট টিভি দেখার উন্নত প্রযুক্তিই হচ্ছে ডাইরেক্ট টু হোম বা ডিটিএইচ। এ প্রযুক্তিতে গ্রাহক সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে পছন্দমত অনুষ্ঠান নিজের টিভিতে ডাউনলিংক করতে পারেন। এই প্রযুক্তিতে ছবি ও শব্দ আসে কেবল সংযোগের চেয়ে দ্রুতগতিতে। প্রতিটি চ্যানেলের ছবি ও শব্দের মান থাকে একই রকম।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে টাটা স্কাই, রিলায়েন্স, ডিশ টিভি, এয়ারটেলসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ডিটিএইচ সেবা দিচ্ছে। ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে এসব প্রতিষ্ঠানের সেট টপ বক্স পাওয়া যায়। অবৈধ হলেও রাজধানীর অনেক বাড়িতে ডিটিএইচ সংযোগ রয়েছে।






Shares