Main Menu

সদর হাসপাতালে গৃহবধূর লাশ ফেলে শ্বশুর বাড়ির লোকদের পলায়ন

+100%-

শমীম উন বাছির: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেছে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সন্ধ্যায়। তবে গৃহবধূর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ তাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম রুমা আক্তার-(১৮)। তিনি সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কোড়াবাড়ি গ্রামের হান্নান মিয়ার মেয়ে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের লোকজন বলেন, গত ৮ মাস আগে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কোড়াবাড়ি গ্রামের হান্নান মিয়ার মেয়ে রুমার সাথে মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির হারিছ ভূঁইয়ার সৌদি প্রবাসী ছেলে সোহাগ ভূঁইয়ার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই সোহাগ ভূঁইয়া সৌদি আরব চলে যান।
নিহত রুমার চাচা আব্দুর রশীদ বলেন, শুক্রবার সকাল ১১ টায় রুমা মোবাইল ফোনে তার মাকে তার মোবাইলে ফেক্সিলোড করার কথা বলে। রুমার ফোন পেয়ে রুমার মা তার ফোনে টাকা পাঠায়। রুমার বড় বোন ঝুমা আক্তার বলেন, বিকেলে রুমার উকিল শ্বশুর মোবাইল ফোনে তাদেরকে জানায় রুমা এক্সিডেন্ট করেছে। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ফোন পেয়ে সন্ধ্যায় রুমার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে দেখেন রুমার লাশ জরুরী বিভাগে পড়ে আছে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন নেই। হাসপাতালের কর্মচারীরা তাদেরকে জানান, কয়েকজন লোক এই মহিলার লাশ হাসপাতালে রেখে চলে গেছে। রুমার চাচা আব্দুর রশীদ অভিযোগ করে বলেন, রুমাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক শ্যামল রঞ্জন দেবনাথ জানান, রুমার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রব বলেন, রুমা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট না দেখে বলা যাবে না। তবে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।






Shares