ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সর্বাত্বক হরতাল পালন। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
শামীম উন বাছির : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সর্বাত্বক হরতাল পালন হচ্ছে। বিগত দিনের হরতালগুলোর দেখা গেছে দুপুর বারটার পর রিক্সা চলাচল করতে। এ দিনের হরতালের দেখা গেছে এর ব্যতিক্রম। বিএনপি’র কর্মীরা বিকেল পর্যন্ত শহরের রিক্সা চলাচল করতে দেয়নি। এতে নিম্ন আয়ের মানুষরা পড়ছে চরম বিপাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া হল রাজনৈতিক সম্প্রীতির শহর। এ শহরে গত তিন বৎসর আওয়ামী লীগ বিএনপি কোন সংঘর্ষ বা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াও হয়নি। কিন্তু বর্তমান হরতালে দেখা গেছে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মত ঘটনাও ঘটতে। হঠাৎ করে শহরের রাজনীতি এমন উত্তপ্ত হচ্ছে কেন জানতে চাওয়া হয় পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা (কচি)র কাছে। কচি মোল্লা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজনৈতিক সম্প্রীতি এদেশে একটি উদাহরণ হয়ে আছে। পালামেন্টে আলোচনা হয়েছে এ সম্প্রীতির উপর। এক প্রশ্নের জবাবে কচি মোল্লা জানান, বর্তমান সাংসদ র.আ.ম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরীর কারণে বর্তমানে সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। র.আ.ম ওবায়দুল মুক্তদির চৌধুরী বিরোধী দলীয় কোন মতামতকে গাহ্য করেন না। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক সভায় অন্য দলের কোন প্রতিনিধি নাই। বিএনপির সময়ে ও জেলা প্রশাসকের উন্নয়ন সভায়ও বিভিন্ন উন্নয়নমুলক সামাজিক কমিটিতে আওয়ামী লীগের নেতারা থাকতেন। হরতালে রিক্সা চলাচল প্রসঙ্গে তিনি জানান, আমরা কাউকেই হরতাল পালনে বাধ্য করি নাই। জনগনই স্বতস্ফুর্তভাবে হরতাল পালন করছে। দু’টি একটি জায়গায় বিএনপি’র নেতা কর্মীদের হাতে রিক্সা, সিএনজি ভাংচুরের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এগুলো একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। মাত্র কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে বড় করে দেখার কিছু নেই। বর্তমান সরকার চরমভাবে গন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের কোন সমর্থন তাদের প্রতি নেই। বর্তমান সরকার যদি মনে করে তাদের জনপ্রিয়তা বেশী তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে তাদের জনপ্রিয়তা পরীক্ষা করুক। সামনের জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না জানতে চাইলে জানান, আমরা রাজনীতিবিদরা সব সময় প্রস্তুত। দল যদি আমাকে মনোনিত করে তাহলে অবশ্যই প্রার্থী হব। বর্তমান সরকারের সাফল্য সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি জানান, এদের গুটিকয়েক সাফল্য পাহাড় সমান ব্যর্থতায় পাহাড়ে চাপা পড়ে গেছে। |