প্রতিনিধি : ইংরেজি শিক্ষকের আপত্তিজনক আচরণ, প্রাইভেট পড়তে ও সাজেশন নিতে বাধ্য করার বিরুদ্ধে গত শনিবার হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ছাত্রীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের পর বেকায়দার পড়া সেই ইংরেজি শিক্ষক নিজেকে বাঁচাতে এবার ডিগ্রি পাস কোর্সের গুটি কয়েক ছাত্রীকে দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার কলেজ চত্বরে মানবন্ধন করিয়েছেন। এজন্য তিনি কলেজের প্রভাবশালী কয়েকজন শিক্ষককে ম্যানেজ করতে টাকা ছড়িয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল কলেজ মাঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক হায়াত মাহমুদ রাসেলের কথামতো ডিগ্রি শ্রেণীর প্রায় ৪০-৫০ জন ছাত্রী মানববন্ধন করে। এদিকে শনিবারের আন্দোলনে অংশ নেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ‘রাসেল স্যার তাদের নানা হুমকি দিচ্ছেন। আন্দোলন থেকে সরে না পড়লে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জানান, আজকের মানববন্ধন করার জন্য কয়েকজন শিক্ষক যাতে এ বিষয়ে কোন কর্ণপাত না করেন সেজন্য তাদেরকে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করা হয়েছে। তাছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর সকল ছাত্রীরা সেদিনের আন্দোলনের দাবিতে অনড় থাকায় ডিগ্রি শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বলে-কয়ে মানববন্ধনে পাঠানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবারের মানববন্ধনের জন্য হায়াত মাহমুদ লাখ টাকা খরচ করেছেন। মহিলা কলেজের হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। জোরপূর্বক অনেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে শনিবারের আন্দোলনের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভীতি প্রদর্শন ও জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর করার বিষয়টিও তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হায়াত মাহমুদ রাসেল বলেন, আমি কোন টাকা খরচ করিনি। আমি খুব সহজ সরল লোক। আমি কোন ঝামেলা পছন্দ করিনা। এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। |