Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের পশ্চিমাঞ্চলের রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা, জন দূর্ভোগ চরমে

+100%-

শামীম উন বাছির :  ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় অধিকাংশ রাস্তার অবস্থাই করুণ। আর বর্ষা মৌসুমে রাস্তার চিত্র হয়ে উঠে আরো ভয়াবহ। সরকারের উন্নয়নের মাপকাঠি হিসেবে সাধারণত বিভিন্ন রাস্তাঘাটের উন্নয়নই মনে করেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু পশ্চিমাঞ্চলের এলাকার রাস্তার কিছু কিছু অংশ ছাড়া প্রায় সব রাস্তাই জরাজীর্ণ অবহেলিত। পশ্চিমাঞ্চলের জনসাধারণ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার খুব কাছে নাটাই দক্ষিণ ও সাদেকপুর দুইটি ইউনিয়ন।
শহরতলীতে অবস্থিত এই দুইটি ইউনিয়নে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে বিখ্যাত পীর সাধকদের মাজার ও খানকা শরীফ ।
সাদেক পুর ইউনিয়নের পশ্চিমে খাড়ঘর নামক স্থানে নদীর পাড়ে রয়েছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধের পরে  স্বাাধীনতাকামী শহীদদের গণকবর।
তারপরও উপজেলা এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত গ্রামীণ পাকা সড়কগুলো সংস্কারের অভাবে বর্তমানে চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদরের সাথে ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক এবং ইউনিয়ন পরিষদের সাথে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সংযোগ রাকারী পাকা রাস্তাগুলোর অধিকাংশেরই একই দশা। মেরামত এবং সংস্কার হয় না বহু বছর যাবত্। যাও মেরামত হয় তা নিম্ন মানের হওয়ায় রাস্তার কাজ শেষ হতে না হতেই পুনরায় ভেঙ্গে পড়ছে। রাস্তাঘাটের এই করুণ অবস্থার কারণ জানে না এলাকার সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চিলোকুট দরবার শরীফ থেকে বোর্ড় অফিস বাজার হয়ে দাড়িয়াপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার সাথে সংযোগ রাকারী গুরুত্বপূর্ণ ৬ কিলোমিটার রাস্তাটির পুরো রাস্তাটিই ভাংঘা ও ইটের খোয়া উঠে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দাম চাইল বাজার থেকে বোর্ড অফিস বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি অংশ বিশেষ সংস্কার করা হলেও রাস্তারটির উভয় পাশের অংশটুকু সংস্কারের কাজ আর এগুচ্ছে না। এছাড়াও এই দুই ইউনিয়ন পরিষদের সাথে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সংযোগ রাকারী পাকা রাস্তাগুলোরও বেহাল দশা। ছোট হরণ বাজার থেকে নরসিংসার দিয়ে বোর্ড অফিস বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদ এর সাথে সংযোগকারী ৩ কিলোমিটার রাস্তটি, বিপরীত দিকে গাছতলা নদীর পাড় থেকে পয়াগ গ্রামের পাশ দিয়ে উক্ত বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদের সাথে সংযোগকারী পাকা ২কিলোমিটার রাস্তাটির গত সাত থেকে আট বছরে কোন সংস্কার কাজ হয়নি। এদিকে বিরামপুর বাজার থেকে আদম পুর কবস্থান হয়ে সাদেক পুর ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার সাথে সংযোগ কারী রাস্তাটিও সংস্কারের অভাবে চলার অনউপযোগি হয়ে গেছে।

এছাড়াও শালঁগাও কালিসীমা বাজার থেকে কালীসীমা গ্রামের ভিতর প্রবেশকৃত পাকা রাস্তাটিরও একই অবস্থা।

স্থানীয় জনগন জানায়, এলাকার রাস্তাগুলো ৮ থেকে ১০ বছর যাবৎ সংস্কার না করায় বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। যার ফলে আমাদেরকে প্রতিনিয়তই কষ্ঠ করে চলাচল করতে হচ্ছে। রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে পরিবহন ভাড়া উচিত থেকে অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। গত সংসদ নির্বাচনের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিন আসনের মাননীয় এমপি এডভোটেক লৎফুল হাই সাচ্চু আমাদেরকে একটি সুন্দর রাস্তা তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন এবং প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী রাস্তার কাজ শুরু করা হবে বলেও জানা যায়। কিন্তু কাজ শুরু করার পূর্বেই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান না ফেরার দেশে। তার পর উপনির্বাচনের মাধ্যমে উক্ত আসনের সাংসদ নির্বাচীত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা, র আ ম উবাদুল মোক্তাধীর চৌধুরী। তখন আমাদের সকলের বুকে নতুন আশার সঞ্চালন হয় যে, এবার আমাদের রাস্তা গুলো সংস্কার ও সম্প্রসারণ এর কাজ করা হবে। কারণ তিনি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচীব থাকা কালে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। তাই কবি বলে ছিলেন, স্কুল কলেজ মাদ্রাসা ঘিরে রবিউল আছে সবার তরে, গ্রামীণ উন্নয়নের রূপকার রবিউল মোদের অংকার। কিন্তু এই সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে এলেও এখন পর্যন্ত এই রাস্তার সম্প্রসারণ এর কাজ করা হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করা হলেও পশ্চিমাঞ্চলের রাস্তাগুলোর তেমন কোন  সংস্কার কাজ করা হয়নি। ফলে আমাদের কে চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, কোন মূমুর্ষু রোগীকে হাসাপাতালে নিতে হলেও অনেক ঝামেলাই পড়তে হয়। রাস্তার খারাপ অবস্থার কারণে যথাযথ সময়নুযায়ী রোগীকে হাসপাতালে উপস্থিত করতে না পারায় অনেকের প্রাণ অকালে ঝড়ে পড়ে। বিশেষ করে স্ট্রোক এর রোগী বা কোন প্রসব বেধানায় গর্ববতী মা বোনতের সময় তা হয়ে উঠে ভয়াবহ।






Shares