Main Menu

টেষ্ট পরীক্ষার নামে প্রায় বিশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস

+100%-

শামীম উন বাছির ঃ স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান নামে মাত্র ফি নিয়ে মডেল টেষ্ট নেওয়ার বিধান থাকলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নয়টি উপজেলায় মডেল টেষ্টের নামে ৬৪১৮১ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪০ টাকা করে প্রায় বিশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। বিভিন্ন স্কুল সূত্রে জানা যায়, জেলায় ২০১৩ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ৬৪১৮১ জন শিার্থী অংশগ্রহন করবে। এরই ধারাবাহিকতায় সমাপনী পরীার পূর্বে প্রস্তুতি স্বরূপ আগামী শনিবার থেকে মডেল টেষ্ট শুরু হচ্ছে। আর এই মডেল টেষ্টের নামে প্রতি শিক্ষার্থী ফিস বাবদ ৪০টাকা করে আদায় করছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। স্কুল পরীক্ষায় পাঁচ ও দশ টাকা করে ফিস নিলেও প্রধান শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ওপর মডেল টেষ্টের নামে ৪০ টাকা ফিস চাপিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। তার উপর সামনে সমাপনী পরীক্ষার ফিস গুনতে হবে ৬০ টাকা। স্কুল কর্তৃপক্ষ মডেল টেষ্ট না নেয়ার বিধান থাকলেও স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের উপর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মৌখিকভাবে চাপিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নাম প্রাকাশে অনিচছুক কয়েকজন প্রধান শিক্ষক। নবীনগর প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম সবুজ জানান, পূর্বে যেখানে স্থানীয় ভাবে মাত্র বিশ টাকা ফিস নিয়ে মডেল টেষ্ট নেয়া হয়েছে। সেখানে শিার্থীদের কাছ থেকে ৪০ টাকা নিতে আমাদের, অভিভাকদের কাছে অনেক প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে সরকারি ভারে আমাদের কোন চিঠি দেয়া হয়নি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফ রফিকুল ইসলাম ৪০ টাকা ফিসের কথা স্বীকার করে জানান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কাগজ আছে। আমাকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। সেমতে আমি নির্দেশনা দিয়েছি। তবে আমি কোন লিখিত চিঠি পাইনি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খাজা মোঃ আলী জানান, মন্ত্রনালয় থেকে আমাকে লিখিত নির্দেশনা দিয়েছে সেইমতে মডেল টেষ্ট বাবদ ৪০ টাকা নেয়া হচ্ছে। আমি প্রত্যেক উপজেলায় লিখিত ভাবে নির্দেশনা পাঠিয়ে দিয়েছি। মডেল টেষ্টের নামে সরকারি ভাবে কোন নিয়ম নীতি কিংবা নির্দেশনা নেই। তবে শিক্ষার্থীদের সমাপনী প্রস্তুতির কথা ভেবে স্ব-স্ব স্কুল যদি মনে করেন তাহলে নাম মাত্র ফিস নিয়ে পরীক্ষা নিতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।






Shares