Main Menu

ত্রিপুরার জন্য খাদ্য নিয়ে আশুগঞ্জে আসছে জাহাজ

+100%-
ডেস্ক : পশ্চিম বঙ্গের শীলিগুড়ির পর আসাম, মেঘালয়ের সঙ্কর্ণীয় গিরিপথ বাদ দিয়েই এবার খাদ্য শস্য আসছে ত্রিপুরায়। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ত্রি পুরার পিডি এসের জন্য দশ হাজার টন খাদ্য শস্য সরবারহের প্রথম কিস্তিেিত তিন হাজার টন খাদ্য নিয়ে একটি জাহাজ আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে। কলকাতা থেকে বৃহ¯প্রতিবার রওয়ানা হয়েছে। আশুগঞ্জ থেকে এই খাদ্য শস্য আসবে আগরতলায় । ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া দরপত্রের মাধ্যমে এই খাদ্যপণ্য পরিবহনের দায়িত্বে রয়েছে। তবে বাংলাদেশের ভেতরে এই খাদ্যশস্য পরিবহন করা হবে বাংলাদেশের জাহাজ ও ট্রাকে।
ত্রিপুরা বাসীর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের করা আবেদনে মানবিক কারণে কোন ধরনের শুল্ক ছাড়াই দশ হাজার টন খাদ্যশস্য পরিবহনের অনুমতি দেয় বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনকে এ সংক্রান্ত একটি অনুমোধন পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। দেশটির রাজস্ব বোর্ড থেকে দেওয়া অনুমোদন পত্র বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক ঘুরে গত তেইশ মে যায় ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনে। সেই অনুযায়ী সেখান থেকে দিল্লীতে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশের দেওয়া অনুমোধন অনুযায়ী প্রথম দফার প্রায় তিন হাজার মেট্টিকটন খাদ্যপণ্য।
এভাবে তিন থেকে চার দফায় সেপ্টেস্বরের মধ্যে মোট দশ হাজার মেট্টিকটন পরিবহণ করা হবে। ত্রিপুরার জন্য পরীক্ষামূলক এই পরিবহণ সম্পন্ন হলে পুর্বোত্তরের মিজোরাম ও আসামের বরাক উপত্যকার কয়েকটি জেলাতেও খাদ্যপণ্য পরিবহণ করা হতে পারে।
আগামী বছর সব মিলিয়ে ত্রিশ হাজার মেট্টিকটন খাদ্যশস্য এভাবে উত্তর-পূর্বে পরিবহণের ইচ্ছা পোষণ করেছে নয়াদিল্লী।
বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দুই দেশের মধ্যে ১৯৭২ সালের নৌ প্রটোকল চুক্তির একটি ধারার সুযোগ নিয়ে এই খাদ্র শস্য পরিবহণ করতে দেওয়া হচ্ছে। তবে এই পরিবহনের জন্য মাশুল নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু ‘মানবিক’ ও বন্ধৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে এখান থেকে মাশুল নেওয়া হচ্ছে না। তবে দাপ্তরিক বিষয়গুলি সঠিক রাখতে ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসকে একটি বিশেষ অঙ্গীকারনামা দিতে হবে। এই অঙ্গীকার নামা আসলে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি তথা ‘এল সি’র বিকল্প। যার আওতাতে হাইকমিশন ওই  খাদ্যপণ্যের দায়দায়িত্ব গ্রহণ করবে। যেন এর কোনো ধরনের ক্ষতিসাধন বা অন্য কোনো প্রকারে বিনষ্ট হয়ে যাওয়া বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হয়ে গেলে এর দায় নেয় ভারতীয় দুতাবাস। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক জানায়, আখাউড়া স্থলবন্দর ও আশুগঞ্জ নৌ বন্দরের কাস্টমসকে দেওয়ার জন্যই এই বন্ড প্রয়োজন। কারণ, যে কোনো ধরনের পণ্য আমদানি বা রপ্তানির জন্য অনুমোদনপত্রের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে এই অঙ্গীকারনামাটিই হবে পারাপারের অনুমোন পত্র। বিদেশ মন্ত্রকে চিঠি দিয়েছিল ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন। ওই চিঠিতে বলা হয়, বর্ষা মরশুমে পূর্বোত্তরের জন্য খাদ্যপণ্য ভারতের প্রশ্চিমাঞ্চল থেকে পরিবহণ করা অনেকটাই সময় ও খরচের ব্যাপার। ভারতের ওই অঞ্চলে পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম বা পি ডি এসের জন্য সরকারের প্রচুর পরিমাণে চাল ও গমের প্রয়োজন হয়। এছাড়া পূর্বোত্তরের ওই এলাকাগুলিতে বর্ষা মরশুমে সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয়  খাদ্য গুদাম ও নেই। তাই বিশেষ প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। হাইকমিশনের চিঠিতে আরও বলা হয়, কলকাতা থেকে শিরিগুড়ি-ধুবড়ি-গুয়াহটি-করিমগঞ্জের জাতীয় মহাসড়ক ধরে পায় ১৭০০ কিলোমিটার কথ ঘুরে আগরতলায় যেতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মাত্র ৩৫০ কিলোমিটার কথ পেরোলেই আগরতলা।






Shares