শামীম-উন-বাছির ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত সোম ও মঙ্গলবার বিএনপির হরতাল চলাকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে সদর থানায় বিষ্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদি হয়ে এ মামলা দুটি করেন। মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পৌনে দুইশ নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়।
জানা গেছে, পুলিশ বাদী দুটি মামলাতেই সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও আগামী নির্বাচনে সদর আসনের ১৮ দলীয় জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলা দুটির এজাহারে উল্লেখ থাকা ৮৮ জনের মধ্যে জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা যুবদল আহ্বায়ক মনির হোসেন, ছাত্রদল সভাপতি শামীম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের নাম রয়েছে। এসব মামলায় দ্বিধাবিভক্ত জেলা বিএনপি’র অন্য গ্রুপের কোনো নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়নি। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে পৌর এলাকার পুনিয়াউটে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ৩৪জন এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত আরো ২০জনকে আসামী করা হয়। এছাড়া দুপুরে পৌর এলাকার কান্দিপাড়া মহল্লার পাওয়ার হাউজ রোডে ককটেল বিস্ফোরণ এবং পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় এজাহার নামীয় ৬২জনসহ আরো ৬০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রব বলেন, বিষ্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়েছে। যারা সরাসরি ঘটনায় জড়িত ছিল তাদেরকেই আসামী করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মামলার ১২জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামীদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এদিকে মঙ্গলবারে রাতে পুলিশ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী নেতাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য কয়েকজনের বাড়িতে অভিযান চালায়। |