প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ১৭নং কুপের গ্যাস জাতীয় গ্যাস গ্রীডে সরবরাহ শুরু হয়েছে । রবিবার দুপুর থেকে এই কূপের গ্যাস জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারী এ কূপের ড্রিলিং কাজ শেষ হয়। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর রবিবার দুপুর থেকে উত্তোলনকৃত গ্যাস জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পর্যায়ক্রমে উৎপাদন বাড়ানো হবে। এ কূপ থেকে প্রতিদিন ৩০মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১২ সালের ৩১ আগষ্ট বাপেক্স এ কূপের ড্রিলিং কাজ শুরু করে। নভেম্বর মাসে ড্রিলিং পাইপ ২৭০০ ফুট মাটির গভীরে যাবার পর আটকে যায়। তারপর সাইড ট্রেক করে অন্তত দু’মাসের বেশী সময় পর ২৮৭২ মিটার ড্রিলিং সম্পন্ন করা হয়। এ কূপের গ্যাস জাতীয় গ্যাস গ্রীডে যোগ হওয়ায় রবিবার থেকেই জাতীয় গ্রীডে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড ৭৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে। এতে করে দেশের গ্যাস সংকট কিছুটা হলেও কমে আসবে। বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান বলেন, কমিশনিং শেষ হওয়ায় তা গ্রীডে সরবরাহ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এ কূপের উৎপাদন বাড়ানো হবে। উল্লেখ্য, দেশের গ্যাস সংকট নিরসনে বিজিএফসিএল (বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড) তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ১৭ ও ১৮ নং কূপ খননের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ৩’শ কোটি টাকা ব্যায়ে খননকৃত দু’টি কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হবে। শহরের শিমরাইলকান্দির তিতাস নদীর তীরে ২০১০ সালে ১৭ নং এই কূপ খননের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়।
|