Main Menu

ব্যাপক বোমাবাজির মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হরতাল পালিত ** ২৩ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ ॥

+100%-
শামীম-উন বাছির: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দফায়- দফায় বোমা হামলা, পুলিশী এ্যাকশন ও আওয়ামীলীগের হরতাল বিরোধী মিছিলের মধ্যে দিয়ে বিএনপির ডাকা গতকাল মঙ্গলবারের হরতাল পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর থেকেই বিএনপি নেতা-কর্মীরা শহরের বিভিন্ন মোড় ও মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং শুরু করে। বিভিন্ন স্থানে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। সকালে হরতালের সমর্থনে জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সিনিয়র সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লাা কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে বিােভ মিছিল বের হয়। দুপুর ১টা পর্যন্ত শহর এলাকায় যানবাহন চলাচল করেনি। বন্ধ ছিল সকল মার্কেটের দোকানপাট। দুপুর ১২টার দিকে শহরের টি.এ রোড এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ৭/৮টি ককটেল নিক্ষেপ করে হরতালকারীরা। এসময় আশপাশের বিভিন্ন অফিস লক্ষ্য করেও ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশ এগিয়ে গেলে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে হরতাল সমর্থকরা টিএ রোড, ঘোড়াপট্টি ব্রীজ, কালি বাড়ীর মোড়, মাদ্রাসা রোড, খালপাড় এলাকায় কমপক্ষে ২০টি ককটেল বিষ্ফোরন করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ, ২০ রাউন্ড টিয়ার শেল এবং ৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে। পুলিশী এ্যাকশনে হামলাকারীরা মাদ্রাসা রোড ও পাওয়ার হাউস রোড দিয়ে  পালিয়ে যায়।   এ সময় জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক ইয়াসিন মাহমুদ বাম পায়ে রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও ২ পুলিশসহ  ৮জন আহত হয়। পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৬টি ককটেল উদ্ধার করে।  দুপুর ১২টার দিকে পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মেজর (অবঃ) জহিরুল হক খান বীর প্রতিকের নেতৃত্বে শহরে হরতাল বিরোধী মিছিল করে জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
পুলিশ হরতালে পিকেটিং করার সময় ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে জেলা সদর থেকে ৯ জন সহ বিভিন্ন স্থান থেকে ১৭জনকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে সকাল ৮টার দিকে সরাইলে ইসলামী ঐক্যজোট নেতা মাওলানা মাহফুজুল ইসলামের নেতৃত্বে হরতাল সমর্থকরা পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। হরতালের পক্ষে বিপক্ষে মিছিল হয়েছে জেলার নবীনগর এবং আখাউড়ায়। আখাউড়ায় হরতালকারিরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল এবং জুতা নিক্ষেপ করে।
এর আগে হরতালকে সামনে রেখে গত সোমবার সন্ধ্যায় শহরের টি.এ. রোড ও জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে ১৫টি ককটেল বিষ্ফোরন ঘটিয়ে শহরে আতংক সৃষ্টি করে হরতাল সমর্থকরা। এ সময় তারা রেল লাইনে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে শহরে কমপক্ষে ১০টি যানবাহন ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  মোঃ আবদুর রব বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে মোট ২৩ রাউন্ড টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় বোমা বিস্ফোরনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৪জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।



« (পূর্বের সংবাদ)



Shares