Main Menu

আমরা সরকারের বিরুদ্ধে নয় ॥ যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে

+100%-

শামীম উন বাছির ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাসুল (সঃ) ও ইসলাম সম্পর্কে কটুক্তিকারী ব্লগার এবং নাস্তিক মুরতাদদের অবিলম্বে ফাঁসির দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ থেকে ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার মহাসমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।
মাওলানা মনিরুজ্জামান সিরাজীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বিভিন্ন মাদ্রাসার কয়েক হাজার ছাত্র-শিক্ষক অংশ নেয়। সমাবাশে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী, মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনছারী, মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরি, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবী, মুফতি মোবারক উল্লাহ, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মুফতি আব্দুর রহিম কাশেমী, মুফতি মাওলানা বেলায়েত উল্লাহ, মাওলানা রহমত উল্লাহ, হাফেজ মোঃ ইদ্রিস, মাওলানা এমদাদুল্লাহ, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মুফতি এনামূল হাসান প্রমুখ।
সমাবেশে মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরি বলেন, আমরা জামাতের পক্ষে নই। আমরা সরকারেরও বিরুদ্ধে নয়, আমরাও  যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই। তবে এই বিচার হতে হবে সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে। শুধু যুদ্ধাপরাধীই নয় সকল অপরাধের বিচার আমরা চাই।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, মুরতাদ ও নাস্তিকদের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ইসলাম ও রাসুল (সঃ) সম্পর্কে কোন ধরনের কুটুক্তি বরদাশত করা হবে না। আমরা সরকার বিরোধী নয়। যারা ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন কটুক্তি ছড়ায় ও ইসলাম বিরোধী অবমাননাকর কথা বলে আমরা তাদের বিরোধী। তাদেরকে কোন ভাবেই মা করা হবে না। বক্তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আগে মুরতাদ নাস্তিকদের বিচারের আহবান জানান। এদিকে শাহবাগের আন্দোলনকে সমর্থন করে সংবাদ প্রকাশ করায় সমাবেশ স্থলে দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকা পুড়ানো হয়। পাশাপাশি বসুন্ধরার সকল পন্য বর্জনের আহবান জানানো হয়। সমাবেশে গ্রেপ্তারকৃত সকল আলেম ওলামাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী,দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার এবং স্বঘোষিত নাস্তিক মুরতাদদের আইনের আওতায় আনাসহ ৯টি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।
দাবিগুলো হচ্ছে অবিলম্বে স্বঘোষিত নাস্তিক মুরতাদদের আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে। আল্লাহ এবং রাসুল (সঃ) ইসলাম, দাঁড়ি, টুপি, নামাজ, রোজা, তাহাজ্জুদ নামাজ এবং হেজাব কুৎসা রটনা বন্ধ করতে হবে। শাহবাগসহ সারা দেশে জনতার মঞ্চে ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে। স্বঘোষিত নাস্তিক রাজিবের শহীদ ঘোষনা ও রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রত্যাহার করতে হবে। স্বঘোষিত নাস্তিকের প ত্যাগ ও তাদের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান বর্জন করতে হবে। ইসলামী রাজনীতি ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত সকল আলেম ওলামাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি ও দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এসব দাবি পূরন না হলে ওলামায়ে কেরামদের নেতৃত্বে ঢাকা অভিমুখী অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচীর দেয়ার ঘোষনা দেয়া হয়। এদিকে প্রতিবাদ সমাবেশকে কেন্দ্র জেলার ১৭০টি মাদ্রাসার হাজার হাজার শিক-ছাত্র এবং তৌহিদী জনতা মিছিল করে সমাবেশ স্থলে আসে।
প্রতিবাদ সমাবেশকে ঘিরে র‌্যাব-৯, পুলিশসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়। সমাবেশ স্থলে তলাশি চালিয়ে লোকজনকে ঢুকতে দেয়া হয়। আইন শৃংখলা রায় দুইজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করা হয়।






Shares