Main Menu

জাতীয় গ্রীডে তিতাসের ১৭নং কূপের গ্যাস সরবরাহ শুরু, প্রতিদিন যুক্ত হবে ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস(ভিডিও)

+100%-

মনিরুজ্জামান পলাশ : ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ১৭ নং কূপ থেকে গ্যাস গ্যাস  (প্রবাহ) দেয়া হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। এ কূপ থেকে প্রতিদিন ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের আশা করা হচ্ছে। এরই মাঝে গ্যাস কূপের টেষ্টিং (পরীক্ষন) সম্পন্ন হয়েছে। ২০১২ সালের ৩১ আগষ্ট বাপেক্স এ কূপের ড্রিলিং কাজ শুরু করে। নভেম্বর মাসে ড্রিলিং পাইপ ২৭০০ ফুট মাটির গভীরে যাবার পর আটকে যায়। তারপর সাইড ট্র্যাক করে অন্তত দু’মাসের বেশী সময় পর ২৮৭২ মিটার ড্রিলিং সম্পন্ন করা হয়।
কর্মকর্তারা জানান, এখানে খুব চমৎকার গ্যাস জোন পাওয়া গেছে। ১৭ ও ১৮ নং গ্যাস ফিল্ড প্রকল্পের একজন প্রকল্প কর্মকর্তা জানান, ফ্লু (প্রবাহ) দেয়ার পর পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। এতে করে দেশের গ্যাস সঙ্কট কিছুটা হলেও কমে আসবে।

বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান জানান, উত্তোলনকৃত কূপের গ্যাস জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ হবে। বর্তমানে কূপটি নিবিড় পর্যবেক্ষনে রয়েছে। প্রতিদিন ২৫/৩০ মিলিয়ন গ্যাস গ্রীডে সরবরাহ হবে।

উলেখ্য, দেশের গ্যাস সঙ্কট নিরসনে বিজিএফসিএল (বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড) তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ১৭ ও ১৮ নং কূপ খননের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে খননকৃত দু’টি কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শিমরাইলকান্দি তিতাস নদীর তীরে সংলগ্নে ২০১০ সালে কূপ খননের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরুর কথা থাকলেও মাত্র একটির ড্রিলিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দু’টি কুপের খনন শেষ হলে বর্তমানে গ্যাস সঙ্কট বহুলাংশে হ্রাস পাবে।(ভিডিও)






Shares